বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক নারী কর্মকর্তা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা মুন্সিগঞ্জ জেলায় কর্মরত। বিবাদী মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বোরানাল গ্রামের মো. আব্দুল আউয়াল খন্দকারের ছেলে।
গতকাল সোমবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ওই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২১ সাল থেকে বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। তখন ববি কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাঁরা গোপনে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাস করেন; কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার চাপের মুখে এই বিয়ে প্রকাশ্যে আনা হয়নি। উল্টো পুলিশ কর্মকর্তা নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আসছিলেন। ববি কর্মকর্তা বিয়ের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছেন। এর আগে তিনি পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়, যা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ জমা দেয়া আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে বাদী নারী ও বিবাদী পুলিশ কর্মকর্তার পূর্বপরিচয় ছিল। কর্মজীবনে বরিশাল অফিসার্স ক্লাবে তাদের দেখা হয়। পূর্বপরিচয়ের সুবাদে তারা প্রায়ই ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হলে দুজনই বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বিবাদী। এ ঘটনার জের ধরে কিছুদিন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন ওই নারী কর্মকর্তা। কিছুদিন পর বরিশাল নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকায় দুজনের আবার দেখা হলে অনুনয়-বিনয় করে আবারও সুসম্পর্ক স্থাপন করেন মাহমুদুল হাসান। এ সম্পর্কের জের ধরে বাদীকে ডিভোর্স দেন তার স্বামী।
তিনি জানান,পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোতে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বাদীর সঙ্গে বিবাদীর বিয়ে হয়। তবে কোনো কাবিন করেননি মাহমুদুল হাসান। এভাবে বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেয়।
গতকাল মামলা দায়েরের পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ইয়ারব হোসেন বাদীর অভিযোগের বিপরীতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ