জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া তীব্র শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ বালাই বাড়ছে বরিশালে।বিশেষ করে এই মুহূর্তে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। যার মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে এরইমধ্যে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ৩৬ বেডের শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে দেড়শত শিশু রোগী। যেখানে গতকাল ছিল ১৫৪ জন। যা ধারণ ক্ষমতার চারগুনের বেশি। । বেডের পাশাপাশি বর্তমানে মেঝেতেও জায়গা নেই এ হাসপাতালের। বর্তমানে একটি বেডে একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফলে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সর্বোশেষ তথ্যানুযায়ী, গেলো ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত ২৪ ডিসেম্বর চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চপর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল, গত পাঁচদিনে ধরে বরিশালে সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ছিল। আরও দুই থেকে তিন দিন বরিশালে এমন শীতের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তিনি জানান, উত্তরের হিমেল হাওয়া, মেঘলা আবহাওয়া এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকায় বরিশালে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগ বা শেষভাগে বরিশালে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চপর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় জানান, চলতি মৌসুমে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো গত ২৪ ডিসেম্বর ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩০ ডিসেম্বর ছিলো ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে গত দুইদিন ধরে ঘনকুয়াশা দেখা না গেলেও চলতি মৌসুমে গত ৩০ ডিসেম্বর কুয়াশার দৃষ্টিসীমা ছিলো শূন্য। উত্তরের হিমেল হাওয়া কেটে গেলে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে পারে।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ