বরিশালে সড়কের পাশে পুরনো কাপড়ের বেচাকেনা জমে উঠেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর থাকে ফুটপাতের দোকানগুলো। ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনার লোকসান পুষিয়ে উঠতে সহজ সুদে ঋণের দাবি জানান হকার নেতারা
সন্ধ্যা নামতেই বেচাকেনায় জমে ওঠে বরিশাল জেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের সামনের সড়কের ফুটপাতের দোকানগুলো। হাঁকডাকে ক্রেতাদের আকর্ষণের চেষ্টা বিক্রেতাদের। আর ভিড় ঠেলে পছন্দের পোশাক কিনতে ব্যস্ত ক্রেতারা।
প্রায় ৫০ বছর আগের হকারদের হাত ধরে গোড়াপত্তন হয় পুরাতন কাপড় বিক্রির ফুটপাতের নামবিহীন এ মার্কেটের। বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতবস্ত্র বেচাকেনা হয় এখানে। আর বাকি ৮ মাস চলে শার্ট প্যান্ট বিক্রি।
দোকানিরা বলছে, আগের তুলনায় গাইটের দাম বেড়েছে। তবে বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় লাভের আশাকরছি।
কম টাকায় পছন্দের পোশাকটি কিনতে পেরে খুশি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
সাধারণ ক্রেতারা বলেন, এখানে সাধ্যের মধ্যে ভাল পণ্য পাওয়া যায়। শীতের তীব্রতা মোকাবিলায় আমরা পরিবারের জন্য এখান থেকেই পছন্দের কাপড় কিনতে পারছি।
এদিকে ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনার লোকসান পুষিয়ে উঠতে সহজ সুদে ঋণের দাবি জানান হকার নেতা।
বরিশাল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের অল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে আমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে খেতে পারি। সরকারেরও রাজস্ব বৃদ্ধি পেত।’
নগরীর ফুটপাতে শতাধিক হকার রয়েছেন। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার শীতবস্ত্র বিক্রি হয়।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ