ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ইয়াবা পাচার মামলায় সোহেল খানকে (২৫) আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। আদালত ৪ জনকে অব্যহতি প্রদান করেছেন। এই আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদুর রহমান রবিবার এই রায় প্রদান করেছেন। রায় প্রদানকালিন সময় সাজাপ্রাপ্ত সোহেল খান পলাতক ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল খান গোদন্ডা গ্রামের জালাল খানের পুত্র।
২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৮:০০ টায় নলছিটি উপজেলার সুবিতপুর ইউনিয়নের তালতলা ব্রিজের পাশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তরিকুল ট্রেডার্সের সামনে থেকে সোহেল খানকে গ্রেপ্তার করে এবং এ সময় ৪—৫ জন পলিয়ে যায়। সোহেল খানের দেহ তল্লাসি করে ১৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় একই দিন নলছিটি থানার এস আই মোঃ সোলায়মান মাহামুদ ৫ জনকে আসামি করে নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন। নলছিটি থানার ৩ জন এস আই ধারাবাহিকভাবে তদন্ত করে আদালতে ২০১৮ সালের ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়েরে করেন। আদালত ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেছেন।
ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালত ফেনসিডিল পাচার মামলায় রাজা গোমস্তা(৪৯) কে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। জেলা ও দায়রা জজ এই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম রবিবার বৈকালীক পর্বে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজা গোমস্তা সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী গোমস্তার পুত্র।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২:০০ টায় ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের অভিযানে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ আসামী গ্রেফতার হয়। ঝালকাঠি গাবখান ব্রিজে টোল প্লাজায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানবাহন তল্লাসীকালে মাদক উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার হয়। এই ঘটনায় একই দিন ঝালকাঠি থানায় ডিবি পুলিশের এস আই জাকির হোসনে বাদী হয়ে দায়ের করেন। এবং ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ৭জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেছেন।