সরকার বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির খরচ মেটাতে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কয়েক মাসে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুত খাতে দুর্নীতির কারণে ঘাটতি মেটাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। চাল, ডাল, তেলের দাম বাড়ছে। হতভাগ্য জীবন.’
হাওরে বিভিন্ন পদের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুপুরের খাবারেরও সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন খেতে পায় না, তখন প্রধানমন্ত্রী নানা রকম খাবার দিয়ে উদযাপন করছেন। এটা একটা তামাশা, সাধারণ মানুষের সাথে তামাশা।’
তিনি আরও বলেন, সরকার লুটপাট ও অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, দেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় আন্দোলন করে সরকারকে অপসারণ করা ছাড়া এখনই কোনো উপায় নেই। দেশে কারো নীরব থাকার সুযোগ নেই। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে।
ক্ষমতাসীন দল দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশ একটি শ্বাসরুদ্ধকর বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি কয়েক দফা আন্দোলনে এই পর্যায়ে দেশকে পরিণতি থেকে রক্ষা করতে চায়। কারণ আওয়ামী লীগ। লীগ ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরে বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির সমর্থনে বিজয়ী সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করে যাচ্ছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। লন্ডন থেকে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্তুয়ারী।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।