নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যকে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ১৭ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়।
গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্যের নাম মো. এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্লাহ (৪৫)। সে ফেনীর সোনাগাজীর মান্দারী গ্রামের মাওলানা শামসুল হকের ছেলে।
এটিইউ বলছে, এমদাদ জঙ্গিবাদ ছড়ানো এবং মাদ্রাসায় শিক্ষক ও ইমাম হিসেবে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনীর সদর থানাধীন সার্কিট হাউজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, ২০০৭ সালে এমদাদ ও তার সহযোগীরা নিজেরাই বোমা তৈরি করে বরিশাল শহরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এমদাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী থানায় সরকারের ভীতি প্রদর্শন, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
ATU এর মতে, এমদাদ ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন। অবৈধ থাকার অভিযোগে জেল খেটে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যান। ১৭ বছর ধরে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে এই জেএমবি সদস্য।
