খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের ব্রিফিং প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ড. মোশাররফ বলেন, “পত্রপত্রিকায় এসেছে- জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। রমজান মাসে মানুষ কীভাবে এগোবে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্বস্ত করেছে যে নিত্যপণ্যের প্রচুর মজুদ রয়েছে। দেশে। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে বেশি কেনাকাটা করতে বলা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, এত মজুদ থাকলে কেনাকাটা করতে অসুবিধা কোথায়? আসলে কেনাকাটা করা যায় না। বাজারের কী অবস্থা! চিনির দাম ১২০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ টাকা। এদেশে ভাগাভাগি করে গরু-মুরগির মাংস কেনার রেওয়াজ ছিল না। ২০০, ২৫০ গ্রাম করে ইলিশ মাছ কেনার রেওয়াজ ছিল না। কিন্তু আজ তা বাজারে দেখা যাচ্ছে। সরকার বললে সব মজুদ আছে। এ কেমন চাপ সরকার! বাজারে গিয়ে দেখুন মানুষ সরকারকে কত গালি দেয়। গরিব মানুষ আজ অর্ধাহারে। তারপরও এই সরকার চাপ দিচ্ছে। আমরা জানতে চাই- খাদ্যপণ্যের এত মজুদ থাকলে কেন দাম বাড়ছে, আমরা সরকারের কাছে স্পষ্ট জবাব চাই।