উচ্চ আদালতের রায় গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে প্রতারনার মাধ্যমে নতুন রায় করিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুড় লুটপাটের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে অদশতাধীক নারী পুরুষ। মঙ্গলবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে বরগুনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বেলা ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। নারী শিশু বৃদ্ধদের উপর হামলা এবং আদালতের রায় অপেক্ষা করে উচ্ছেদকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী বলেন, খাজুরতলা গ্রামে কেনা জমির উপর শতাধিক ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিল ৩ শতাধিক পরিবার। কিন্তু একটি দেওয়ানি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেন বরগুনার সহকারী জজ আদালত। আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ও মামলার বাদী পক্ষের শতাধিক লোক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
তবে অভিযান চলাকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে নাজির ফারুক আহম্মেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চলে গেলেও বাদী পক্ষ দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এ প্রসঙ্গে বিবাদী রহিমা বেগম বলেন, আদালতের রায়ে ৬টি ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ছিল। কিন্ত তারা দের শতাধীক বাড়িঘর ভাঙচুড় করে।
যে জমিতে ভাঙচুড় করা হয়েছে ১৯৯৫ সালে সেই জমিতে উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে কিন্ত ২০২১ সালে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে গোপনে তারা একতরফা রায় করিয়ে লুটপাট চালায় তারা।