জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তরিকুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের মিজান খানের ছেলে। আর নিহত লামিয়া একই গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলামের কন্যা ও উপজেলা সদরের সরকারি বঙ্গমাতা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পিবিআই জানায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার স্ত্রী লামিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারণে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল। এ অবস্থায় গত ৬ ডিসেম্বর রাতে লামিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই রাতেই ১২টার দিকে লামিয়াদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের পাশে বসে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন তরিকুল। পরে স্ত্রীর লাশ টেনে ওই বালুর মাঠে নিয়ে যান তিনি। সেখানে পাশের একটি গোয়ালঘর থেকে বেলচা এনে বালু খুঁড়ে সেখানে ওই তরুণীকে পুঁতে রাখেন। পরবর্তী সময়ে গত ১১ মার্চ আবারও ওই পুঁতে রাখা লাশটি তিনি ওঠানোর চেষ্টা করেন ও তরুণীর বাড়িতে চিরকুট রেখে আসেন। চিরকুটের সূত্র ধরে লামিয়া নিখোঁজ ও পরবর্তীতে তার কঙ্কাল উদ্ধারের রহস্য উম্মোচিত হয়।