পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে অবিনাশ মিত্র (৬৫) নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মঠবাড়িয়া শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে মঠবাড়িয়া-চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর মিঠাখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমা পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো-১২-১৩২৯) নামের বাসটি ৪৫ যাত্রী নিয়ে মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে ঢাকার সায়েদাবাদ ছেড়ে যায়।
নিহত আইনজীবী অবিনাশ মিত্র উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের ভূপেন্দ্র মিত্রের ছেলে। তিনি মঠবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পিরোজপুর জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। ঢাকায় ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রোববার রাতে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমা পরিবহনের বাসটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে পাথরঘাটা হয়ে মঠবাড়িয়ার দিকে আসছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে গাড়িটি মঠবাড়িয়া শহরের উত্তর মিঠাখালী নামক স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ গাড়িটি রাস্তার বাম পাশে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। ২২ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত আইনজীবী অবিনাশ মিত্র মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
অপরদিকে, গুরুতর আহত যাত্রীদের মধ্যে আরিফ হোসেন (৪০), হেলেনা বেগম (৫০), সাব্বির হোসেন (১৪), মঠবাড়িয়ার শামীম মিয়া (২৪) এবং পাথরঘাটা উপজেলার নূরে আলম (৪৫) ও মিজানুর রহমান (৪০) কে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও দুর্ঘটনার কারণে পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে বলে জানান মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান তালুকদার।
এর আগে রোববার মাদারীপুরের পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহত হয়। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। পুলিশ বাদী হয়ে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।