খাদ্য বিভাগে চাল সরবরাহের জামানতে জাল পে-অর্ডার দেয়ার অভিযোগের মামলায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। তিনি এলাহী এগ্রো লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী।
বুধবার (১৫ মার্চ) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পুষ্টি চাল সরবরাহের চুক্তিভত্তিক মিলার এলাহী এগ্রো লিমিটেড ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ১১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার জামানত দেয়, পরে যা যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়। এই ১১টি পে অর্ডারের বিপরীতে প্রকৃতভাবে জমা দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। অর্থাৎ ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার পে-অর্ডার জালিয়াতি করে খাদ্য বিভাগে জমা দেয় এলাহী এগ্রো।
মামলায় আরও বলা হয়, ভুয়া এসব পে-অর্ডারের মধ্যে ছয়টি করা হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখা নারায়ণগঞ্জ থেকে, চারটি করা হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক পয়সারহাট শাখা এবং একটি করা হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক বাটাজোড় শাখা থেকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকার পোস্তখোলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আলী রেজা এবং অগ্রণী ব্যাংকের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সার হাট শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক অম্লান বিশ্বাস।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক ও মামলা শাখা প্রধান মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার জানান, উচ্চ আদালতে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। মামলার বাকি ২ আসামি জামিনে আছেন।