ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া এক পুলিশ পরিদর্শককে (ইন্সপেক্টর) জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে জরিমানা করেছে ট্রাইব্যুনাল। মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন নামের ওই পুলিশ পরিদর্শককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও, তাকে আরও ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে জরিমানা জমা দিলে আসামিদের জেল খাটতে হবে না বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুটি ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়া খেলে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এবং ফেসবুকে এমন মিথ্যা পোস্ট করেছেন। এতে হুইপের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা আদালতে আটজন সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তা অমান্য করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, হুইপের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মাহমুদ সাইফুল করিমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ৯ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া একই আইনের ২৯(২) ধারায় তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও নয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে, সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী মাহমুদ সাইফুল করিম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন যাতে তিনি পাঁচ বছরে জুয়ার ইভেন্ট থেকে ১৮০ কোটি রুপি আয় করেছেন। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী।
২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল নিশাত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে কোথাও বাদীর নাম আসেনি। তাই বাদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, যা প্রকাশের মাধ্যমে বাদী সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।