More

    ১৫ দিন ধরে আগৈলঝাড়ায় সড়কের পাশে গাছ যে যার মত করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে

    অবশ্যই পরুন

    আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারীর সহযোগিতায় সড়কের
    দুই পাশের সরকারী গাছ কাটা থামছে না। গাছ কাটার সংবাদ পেলেই বন
    কর্মকর্তা ওই স্থানে গিয়ে ম্যানেজ হয়ে চলে আসেন।
    গত ১৫দিন ধরে রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী চুন্নুর দোকান থেকে আগৈলঝাড়া
    সীমানা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু—পাশের রেন্ট্রি, মেহগনি,
    চাম্বল, অজুর্ন ও আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির তিন শতাধিক গাছ কেটে
    নিচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারী সড়কের গাছ নিজেদের দাবী করে অনেকেই পাইকারদের
    কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
    গত ১৫ দিন ধরে সড়কের গাছ যে যার মত করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। দেখার মত যেন
    কেউ নেই। দেখে মনে হচ্ছে সরকারী জায়গার গাছ হরিলুট হয়ে যাচ্ছে। বন
    কর্মকর্তা স্বপন অধিকারীকে সড়কের গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা জানালে তিনি
    ঘটনাস্থলে গিয়ে এক টুকরা গাছ জব্দ করেন।
    স্থানীয়রা জানান গাছ কেটে নেওয়ার লোকজনের কাছ থেকে ম্যানেজ হয়ে বন
    কর্মকর্তা চলে আসেন। বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারীর সহযোগিতায় গাছ
    কেটে নেওয়ার একটি সংবাদ সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে বন
    কর্মকর্তা স্থানীয় একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রতিবাদ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন।
    এরপরেও মাগুরা—ভালুকশী সড়কে গাছ কাটা থেমে নেই।
    বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই সড়কে সরেজমিন গিয়ে
    দেখা যায় আগৈলঝাড়ার সীমানায় নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে এসকেন্দার সরদার
    তার বাড়ির সামনে সড়কের পাশের বড় একটি রেন্ট্রি গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে
    নিয়ে যাচ্ছে। একই সড়কের অমিত বিশ্বাস তিনটি রেন্ট্রি গাছ বার্থী
    গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী রানা বয়াতীর কাছে ২০হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
    গাছ ব্যবসায়ী ওই গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই সড়কে ভালুকশী
    গ্রামের সেলিম গাজী তিনটি মেহগনি গাছ বার্থী গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী
    ফারুক বেপারীর কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ওই গাছ ব্যবসায়ী গতকাল
    শুক্রবার শ্রমিক দিয়ে সড়কের পাশের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই গত ১৫দিন
    ধরে প্রতিদিনই ওই সড়কের গাছ স্থানীয়রা কেটে নিচ্ছে ও বিক্রি করে দিচ্ছে।
    ভালুকশী গ্রামের সেলিম গাজীর স্ত্রী রাফিয়া বেগম গাছ বিক্রির সত্যতা স্বীকার
    করে বলেন, আমার জায়গায় লাগানো গাছ আমি বিক্রি করে দিয়েছি।
    এব্যাপারে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা অভিযুক্ত স্বপন অধিকারী বলেন, ভালুকশী
    চুন্নুর দোকান থেকে আগৈলঝাড়া সীমানা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার
    সড়কে আমাদের বনবিভাগের কোন গাছ লাগানো নেই। স্থানীয়রা যার যার জায়গায়

    গাছ লাগিয়ে ছিল তারা তা কেটে নিচ্ছে। তবে এক টুকরা গাছ জব্দ করে সড়কের
    পাশে রাখা হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আল্টিমেটামে শেবাচিম হাসপাতালের ইতিবাচক পরিবর্তন, সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা

    অনলাইন ডেস্ক: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে সংস্কার আন্দোলনের ৩০ দিনের আল্টিমেটাম পরবর্তী সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে সংবাদ...