আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
উজিরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর প্রসব করা ফুটফুটে দ্বিতীয় পুত্র সন্তান
মো. সায়েম রহমানের ঠাঁই হলো আগৈলঝাড়ায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগীয় বেবী
হোমে। বুধবার রাতে উপজেলার গৈলায় অবস্থিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায়
বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমের উপ—তত্বাবধায়ক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা উজিরপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.
আবুল কালাম আজাদের প্রেরণ করা নবজাতক শিশু মো. সায়েমকে নিজ হেফাজতে
বুঝে নেন।
উজিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ২৭
মার্চ সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা—বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার
ইচলাদী টোলপ্লাজা সংলগ্ন বালুর মাঠে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী (৩৫)
ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এটা তার প্রসব করা দ্বিতীয় পুত্র
সন্তান।
ওই রাতেই উজিরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেখ অঁাখি খানম বিষয়টি
কাউন্সিলরের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতকটিকে উদ্ধার করে থানা
পুলিশের সহায়তায় উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির সময়ে মা ও শিশু
উভয়েই সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে সবার অলক্ষে পরদিন ওই
ভারসাম্যহীন নারী হাসপাতাল থেকে চলে যায়।
এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর পুত্র সন্তান জন্মের খবরে উৎসুক জনতা
হাসপাতালে ভিড় করে একাধিক ব্যক্তি নবজাতক পুত্র সন্তানটি তাদের পরিবারে নেয়ার
জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেও আইনী জটিলতার কারনে তাদের কাউকেই দেয়া সম্ভব
হয়নি। হতভাগ্য পাগলী মা হলেও নবজাতক সন্তানের কোন পিতৃ পরিচয় জানা
যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন,
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী দীর্ঘদিন যাবত উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী ও তার
আশপাশ এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন স্থানীয়রা। ইতোপূর্বে সোনার বাংলা
বাজারে এই পাগলী আরও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ওই সন্তানটিকে
তত্বাবধানের জন্যও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন বরিশাল বিভাগীয় বেবী
হোমে (আগৈলঝাড়ার গৈলায়) পাঠানো হয়েছিল। নবজাতক সন্তানকে বিভাগীয়
বেবী হোমে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমের উপ—তত্বাবধায়ক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা জানান, উজিরপুর সমাজসেবা অফিস
থেকে প্রেরণ করা নবজাতক শিশু সায়েম রহমানকে তিনি বেবী হোমে গ্রহন
করেছেন। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। ষ্টাফরা তাকে গ্রহন করে মাতৃ স্নেহে
পরম আদরে পালন করছেন।