More

    বরগুনায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত

    অবশ্যই পরুন

    রাসেল মাহমুদ(বরগুনা প্রতিনিধি):

    রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তমূলক বিশ্বগঠন, এই প্রতিবাধ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় বরগুনায় রবিবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে  ১৬ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩ এর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানাব সুভ্রা দাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার অনিশ কৃতিয়া,‌ এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা অফিসার তরুণ কান্তি হিরা, জেলা প্রবেশণ অফিসার মিজান সালাহ্ উদ্দিন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিসোর্স শিক্ষক মনির, জেলা শিশু কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. বন্যা,‌ জেলা নারী বিষায়ক কর্মকর্তা মেহরুন নেছা মুন্নী ,জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।

    এ সময় বক্তারা বলেন,  অটিজমকে অনেকে মানসিক রোগ মনে করলেও এটি প্রধানত স্নায়ুবিক বিকাশ-জনিত সমস্যা। যে সমস্যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি আর দশজন মানুষের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হয় ।অটিজম আক্রান্তরা যাতে ধীরে ধীরে কর্মক্ষেত্রেও প্রবেশ করতে পারে সেই ধারা শুরু করার জন্য এই পদক্ষেপ হাতে নেওয়া। অটিস্টিকরা সমাজ এবং পরিবারের বোঝা নয়। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের  সহযোগিতায় পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ পেলে একজন অটিস্টিকও হয়ে উঠতে পারে সমাজ এবং দেশের সম্পদ। অটিস্টিকরা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি করে চাইলে কর্মক্ষেত্রেও যোগদান করতে পারে।

    তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়াই হচ্ছে এই বছরের মূল প্রতিপাদ্য। একজন অটিস্টিক যাতে সমাজের মূল ধারার সাথে মিশে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে অটিস্টিকরা সুস্থ হয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে পারলে, তা পরিবার, সমাজ এবং দেশের জন্য হবে বড় পাওয়া।

    তাই আমাদের উচিত অটিস্টিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা। যদিও এই কাজে প্রচুর বাঁধা এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবুও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকলে এক সময় না একসময় অবশ্যই সফলতা আসবে। সকলের সহযোগিতা আছে বলেই এখন অটিস্টিকরা পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। যদি এই সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রাখা যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই অটিস্টিকরাই হয়ে উঠবে দেশের সম্পদ।আসুন আমরা সবাই অটিজম সম্পর্কে সচেতন হই। বিশেষকরে গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রতি যত্নবান হই। যেসব সমস্যার কারণে শিশুর অটিজমসহ অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে, সেইসব কারণ সম্পর্কে সচেতন হই। সেইসাথে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের প্রতি সমবেদনা ও ভালোবাসা সৃষ্টি করি।  তাদের সুস্থ করে তোলার মাধ্যমে দেশের সম্পদে পরিনত করি। যাতে তারাও সুস্থ হয়ে তাদের উপযোগী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারে। তাহলেই একজন অটিস্টিক শিশু বা ব্যক্তি এই সুন্দর পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার উপলক্ষ্য পাবে।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিট্রেট সুভ্রা দাস বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিকদের নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

    আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মোঃ ইউসুফ আলী, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় বরগুনা।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...