এক সপ্তাহ ধরে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দুটি ফেরি বন্ধ রয়েছে। এতে উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তরমুজ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, তরমুজ পচে যাচ্ছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত উভয় পাশে দুই শতাধিক যানবাহন ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। যার মধ্যে ভোলা বিভাগে ৯০টি প্রত্যাশিত। এসব ট্রাক-শ্রমিক ও চালকের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করলেও ফেরি দেখতে পান না। তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়।
জানা যায়, দ্বীপ জেলা ভোলা এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে যোগাযোগের একটি সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি সার্ভিস। এই রুটে ৬টি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে দুটি ফেরি ভেঙে যাওয়ায় এই যানজট হয়।
তরমুজ বহনকারী লরি চালক। কামাল হোসেন ও ইদ্রিস জানান, শনিবার (১ এপ্রিল) রাত থেকে তারা ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু লাইন জ্যামের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। কবে যেতে পারবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ঘাটে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করলে তাদের তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে
এদিকে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যেখানে মোট ৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদার প্রায় ৯০% বিভিন্ন জেলায় যায়। এ কারণে তরমুজের গাড়ির চাপ বেশি। কারণ ভোলার বাইরে যেতে হলে ভোলা-লক্ষীপুর রুট ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু ফেরি ভেঙে যাওয়ায় এখন যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ফেরির দায়িত্বে মো. পারভেজ খান বলেন, কুসুম কলি ও কলমি লতা নামে দুটি ফেরি ভেঙে পড়েছে। দ্রুত ফেরিগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, ২/১ দিনের মধ্যে এটি চালু হয়ে যাবে। তাহলে জট কমবে।
