কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাদারীপুরের কালকিনিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে কামাল উদ্দিন নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যের প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জোরপুর্বক কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় বাঁধা দিলে ওই ইউপি সদস্যকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার বড়চর কয়ারিয়া গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন তার বাড়ির পাশের বড়চর কয়ারিয়া মৌজার, বিআরএস ৬৫৮/১ নং খতিয়ানের ৩৩ শতাংশ জমিতে কয়েক বছর আগে মেহগনি, চাম্বুল ও রেইনট্রিসহ প্রায় শতাধিক গাছ রোপন করেন। কামাল উদ্দিনের রোপনকৃত ওই গাছ বাগানের জমি একই এলাকার মাহাবুবু হাওলাদার লোকজন নিয়ে জোরপুর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কামাল উদ্দিন জমি দখলে বাধা দিলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পরে নিরুপায় হয়ে কামাল উদ্দিন মাদারীপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। কোর্ট উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জমি বেদখল ও কোন গাছ না কাটার জন্য নিষেজ্ঞা জারি করে। কিন্তু আদালতের এ নিষেজ্ঞাকে উপেক্ষা করে মাহবুবু হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে ওই জমির অর্ধশতাধিক গাছ জোরপুর্বক কেটে নিয়ে বিক্রি করেন দেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, অনেকই আগেই আমার জমিতে আমি গাছ লাগিয়েছি। এই গাছ বড় হলেই বিক্রি করে খাওয়া জন্য লোভ জাগে মাহাবুব হাওলাদারের। খালিাবাড়িতে সুযোগ
পেয়ে আমার গাছগুলো জোরপুর্বক মাহাবুব তার লোকজন দিয়ে কেটে নিয়ে গেছে। কোর্টের নিষেজ্ঞাকেও সে কোন পরোয়া করেনি। আমি গাছ কাটায় বাধা দিলে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে মাহাবুব হাওলাদার ও তার লোকজন। অভিযুক্ত মাহাবুব হাওলাদার বলেন, ওই জমি আমার বাবার কেনা জমি।
আমাদের দলিল আছে বিধায় আমরা গাছ কেটেছি। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসন জানান, কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।