বরিশাল জেলা জজ আদালতে হাজিরা শেষে নিচতলায় পৌঁছা মাত্রই বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রদল নেতাকে আহত করে এবং এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করে। আহতদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিনসহ ১০/১২ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার বরিশাল জজ কোর্টে যান। একটি বিস্ফোরক এবং হত্যা মামলায় হাজির হন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল ও সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান। দুপুর ১২টার দিকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিন, গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান শরীফসহ তিনজনকে আহত করে।
আহত গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান শরীফ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ নেতাকর্মীরা বের হয়ে আদালতের নিচতলায় পৌঁছালে গৌরনদী পৌর যুবলীগের সদস্য রায়হান ফকির (২৮)। কাওছার ফকির (২৯) ও শিবলী (৩২) আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা অতর্কিত আমার ও ছাত্রদল নেতা আল আমিন ও রাসেলের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এ সময় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম আমাদের রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও ঘুষি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কোর্ট পুলিশ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। ওই মামলায় আমরা হাজিরা দিতে আসলে যুবলীগ নেতাকর্মীরা আবারও আদালতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আদালতেও আমাদের নিরাপত্তা নেই। আদালতেও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আবদুস সোবাহান ও এড.গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আদালতে মানুষের নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আদালত চত্বরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করলে মোঃ রায়হান ফকির ও মোঃ কাওছার ফকিরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মো: শিবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।