কলাপাড়া প্রতিনিধি : যুবদল নেতা কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর ফকির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ভিজিডি, মৎস্য তালিকা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রনয়নে গণহারে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ এনে সোমবার (৫ জুন) বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির।
লিখিত বক্ত্যব্যে তিনি বলেন, ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনগন চেয়ারম্যানের আচরনে অতিষ্ঠ হয়ে শতশত ভূক্তভোগী মানুষ আমার কাছে আসে। আমি এসব ঘটনা এক বছর তিন মাসে আমলে নেই নাই। কিন্তু দিন দিন বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডে বর্তমানে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ায় আমি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৪০ দিনের কর্মসূচীর নামে একটি মাটির কাজ চলমান আছে। যাহা বছরে দুই বার বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিবার বরাদ্দে ৯৯ জন শ্রমিকের তালিকা করা হয়।
দুইবারে মোট ১৯৮ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। প্রত্যেক শ্রমিকের দৈনিক মজুরী চার’শ টাকা নির্ধারন করে সরকার। দুইবারের বরাদ্দে মোট টাকা আসে ৩১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। কিন্তু কোন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়না। রাতের আধারে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করানো হয়। সরকারের নিয়ম রয়েছে ৪০ দিনের কর্মসূচী শ্রমিক দ্বারা সম্পন্ন করার। এ বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান ভেকু দিয়ে ওই কাজ করায়।
সরকার প্রত্যেক শ্রমিকের নামে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান মজিবর ফকির ১৯৮টি মোবাইল সিম কিনে বিকাশ একাউন্ট খুলে তার নিজের হেফাজতে রাখে এবং নিজেই ওই টাকা উত্তোলন করেন বলে দাবী করা হয়েছে। এছাড়া এলজিইডির মাধ্যমে ক্রিপের আওতায় ৫টি মাটির কাজ চলমান রয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে ডানিডা। এই কাজ মহিলা শ্রমিক দিয়ে করানোর কথা থাকলেও কাজ করছেন ভেকু মেশিন দিয়ে। এবং মহিলা শ্রমিকদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে টাকা পরিশোধের নিয়ম রয়েছে।
এখানে ব্যংক হিসাব খোলা হয়েছে, শ্রমিকরা চেকও পেয়েছে, কিন্তু চেয়ারম্যান মজিবর ফকির ওই চেকের পাতায় স্বাক্ষর রেখে সকল চেক নিজের হেফাজতে রেখে ব্যাংকের সাথে আতাত করে টাকা উত্তোলন করেন বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবির। এছাড়াও সরকার দুস্থ মহিলাদের জন্য ভিজিডি প্রকল্পে ৩৫০ জন মহিলার তালিকা করা হয়। তালিকা করার সময় তিন হাজার ও পাশ বই নিতে গেলে আরও ১২’শ টাকা করে নেয়া হয়।
যারা দিতে পারেনি তাদের পাশ বই কিংবা বরাদ্দের চালও দেয়া হয় না বলে দাবি করেছে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ৭জন দুস্থ মহিলার নামের তালিকা সুপারিশ করে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার কাছে দিলে তা চেয়াম্যানকে দেয়া হলেও চেয়াম্যান তা আমলে নেয়নি। এছাড়াও জেলেদের চাল বিতরনে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন চাকামইয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির। এসময় এলাকার দুস্থ মহিলারা উপস্থিত ছিলেন।