আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়ন ও উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের নামের সীল, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড, গোল সীল ও জাঁল ওয়ারিশ সনদপত্র তৈরীর অভিযোগে আগৈলঝাড়া ও উজিরপুরের দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই প্রতারককে গতকাল রোববার সকালে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের সাহেবেরহাটের সুবিন্দু রায়ের কম্পিউটারের দোকানে বসে গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু ও উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারের নামের সীল, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের সীল, ইউনিয়নের গোল সীল, চেয়ারম্যানের প্যাডের কাগজ, ইউনিয়ন পরিষদের জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিল। ২৪ জুন রাত ৮টায় এসব কাগজপত্র তৈরীর সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাঁলিয়াতি চক্রের দুই সদস্য উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাহেবেরহাট বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী মৃত নিরঞ্জণ রায়ের ছেলে বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী সুবিন্দু রায় (১৯) এর দোকান থেকে দোকান মালিক সুবিন্দু ও তার সহযোগী উজিরপুর থানার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি গ্রামের মৃত হরিচরণ বল্লভের ছেলে অমল বল্লভকে (৫৯) আটক করে।
এ সময় ওই দোকান থেকে আটককৃতদের হেফাজতে থাকা আগৈলঝাড়ার ৪নং গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটুর নিজ নামীয় সীল, ইউপি সচীবের সীল, পরিষদের গোল সীল, পরিষদের নামে তৈরীকৃত প্যাড এবং জাঁলিয়াতি করা ওয়ারিশ সনদপত্র এবং উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের অনুরুপ সীল এবং কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের নামের তৈরী করা সীল, প্যাড এবং ওয়ারিশ সনদপত্র জাঁলিয়াতি করে তৈরী করা মর্মে শনাক্ত করেন।
এই জাঁলিয়াতি চক্রটি উল্লেখিত দুই ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের নামেও জাঁলিয়াতি করে বিভিন্ন কাগজপত্র ও দলিলাদি তৈরী করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। শনিবার রাতে গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে আটক সুবিন্দু রায় ও অমল বল্লভসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটককৃত দুই জন গ্রেপ্তারকৃত প্রতারককে গতকাল রোববার সকালে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।