আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সমাধি নির্মাণে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পবিত্র কুমার সিমলাই (শখানাথ)’র সমাধি নির্মাণ করার জন্য মঙ্গলবার সকালে রশি ও লাঠি দিয়ে জায়গা নির্ধারণ করেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি উত্তম সিমলাই। ওই জায়গা দিয়ে পাশের বাড়ির ফজলুর রহমান খান ও অজেদ সন্যামতের পরিবারের লোকজন চলাচল করে আসছিল। ওই জায়গায় সমাধি নির্মাণ করলে তাদের বাড়িতে মালামাল আনা নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম চাঁনের কাছে ওই জায়গা দিয়ে চলাচলকারী ফজলুর রহমান খান ও অজেদ সন্যামত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম চাঁন ঘটনাস্থলে গেলে ওই দুই পরিবারের লোকজন আসেন। তখন ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম চাঁনের নির্দেশে ফজলুর রহমান খানের ছেলে সুমন খান ও মামুন খান নির্ধারিত স্থানের রশি ও লাঠি ফেলে দেন বলে অভিযোগ করেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি উত্তম সিমলাই।
এসময় উত্তম সিমলাই আরও বলেন, আমাকে তারা দেশ থেকে চলে যেতে বলেন এবং জীবন নাশের হুমকিও দেন।
এব্যাপারে ফজলুর রহমান খান বলেন, আমরা সমাধি নির্মাণে বাঁধা দেইনি। আমরা একটু চলাচলের জায়গা রাখার কথা বলেছি। আমার ছেলেরা সমাধি নির্মাণের রশি ও লাঠি ফেলে দেয়নি।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম চাঁন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি উত্তম সিমলাই’র ভাই জয়ের অটো গাড়ী চলাচলের সুবিধার জন্য গিয়েছিলাম। সমাধি নির্মাণের কোন রশি ও লাঠি উপরে ফেলার জন্য নির্দেশ দেইনি।