বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বিচারের দাবীতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামের নিজাম উদ্দিন ফকিরের চায়ের দোকানের পিছনের পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে বসে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাস খেলছিলেন স্থানীয় ইকবাল মৃধা, আলামিন মৃধা, জামাল মৃধা ও ফরিদ মৃধা।
এসময় তাস খেলা দেখছিলেন স্থানীয় অনেকে। ওই সময় ওই স্থান দিয়ে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশের টহলরত একটি পিকআপ যাচ্ছিল। তাস খেলা দেখে গাড়ী থেকে নেমে এসআই আব্দুল হক সিকদার, দুই পুলিশ সদস্য ও গাড়ী চালক তাদেরকে ধাওয়া করে। অনেকের সাথে তাস খেলা দেখছিলেন স্থানীয় মন্নাত হাওলাদারের ছেলে বিদেশ ফেরত (প্রবাসী) মো. রফিক হাওলাদার (৪৫)। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। রফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পাট ক্ষেত ও রাস্তা পাড়ি দিয়ে কাজী মন্নানের বাড়িতে গিয়ে অচেতন হয়ে পরে।
তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী শাকিল সরদারকেও পুলিশ মারধর করেছে বলে তিনি জানান। এঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এঘটনায় বিকেল ৪টায় বিক্ষুদ্ধরা বার্থী—মাগুরা সড়কে ইউপি সদস্য অলি ফকিরের নেতৃত্বে পুলিশের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ছরোয়ার ও ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী টিপু খান জানান, দুুপুর বেলা আমি এখানে লাউ গাছের ঝাকা দিচ্ছিলাম।
এসময় পুলিশের গাড়ী থামিয়ে তাস খেলারত সবাইকে ধাওয়া করে। দৌড়ে পালাতে গিয়ে রফিক হাওলাদার অসুস্থ্য হয়ে পরে। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় পুলিশ শাকিলকেও মারধর করেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত গৌরনদী মডেল থানার এসআই আব্দুল হক সিকদার বলেন, পুলিশের গাড়ী দেখে দৌড়ে পালাতে গিয়ে কেউ মারা গেলে আমার কি করার আছে। আমি কাউকে ধাওয়া দেইনি ও মারধর করিনি।
এব্যাপারে রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার জানান, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। সকলকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।