বরিশাল আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার বৃদ্ধ গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের নজির মিয়ার সাথে একই বাড়ির বারেক ও মনির হাওলাদারের সাথে বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত বৃদ্ধ নজির মিয়া বলেন তার বাড়ি সংলগ্ন স্থানীয় মজিদ হাওলাদারের ৬ শতাংশ জায়গা এক বছর পূর্বে তার প্রবাসী ছেলে ওমর ফারুকের নামে ক্রয় করেন। জায়গা ক্রয় করার পর থেকেই বারেক হাওলাদার ও মনির হাওলাদার তাদের কাছে ওই ৬ শতক জায়গা ফেরত দিতে বিভিন্ন ভাবে নজির মিয়ার উপর চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায় চাপের মুখে নজির মিয়া তার প্রবাসী ছেলে ওমর ফারুককে দেশে এনে বারেক হাওলাদারের মেয়ে সম্পা বেগমের নামে ফেরত দিতে বাধ্য হয়। বারেক হাওলাদার জায়গা ফেরত নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। বারেকের মেয়ে সম্পার স্বামী ঝালকাঠি সদর উপজেলার নুরুল হাওলাদারের ছেলে শহীদ হাওলাদারের এগারো লক্ষ টাকার ক্ষয়—ক্ষতির মামলাসহ একাধিক বানোয়াট মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে জানান আহত নজির মিয়া। গত ৯ জুলাই ওই মামলায় বরিশাল আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে বিবির পুকুর পাড় দিয়ে হেটে আসার সময় বারেকের জামাই শহীদের নেতৃত্বে ৭/৮ জন এলোপাথাড়ি হামলা চালিয়ে নজির মিয়াকে আহত করে ফেলে দ্রুত চলে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় নথুল্লাবাদ এসে নিজ এলাকায় পৌঁছে পরে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় নজির মিয়া।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নজির মিয়ার স্ত্রী শোভা বেগম। অভিযুক্ত শহীদ হাওলাদার জানান, বরিশাল আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে বিবির পুকুর পাড় দিয়ে হেটে আসার সময় নজির মিয়ার সাথে বাগবিতন্ডা হয়।