বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ভালুকশী গ্রামে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রফিক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে গৌরনদী মডেল থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদারসহ চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখী।
ক্লোজড হওয়া অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও পিকআপ চালক জিহাদ হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভালুকশী গ্রামের নিজাম উদ্দিন ফকিরের চায়ের দোকানের পিছনের পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে বসে তাস খেলছিলেন স্থানীয়রা। এসময় তাস খেলা দেখছিলেন স্থানীয় অনেকে। ওই সময় ওই স্থান দিয়ে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশের টহলরত একটি পিকআপ যাচ্ছিল। তাস খেলা দেখে গাড়ী থেকে নেমে এসআই আব্দুল হক সিকদার, দুই পুলিশ সদস্য ও গাড়ী চালক তাদেরকে ধাওয়া করে। অনেকের সাথে তাস খেলা দেখছিলেন স্থানীয় মন্নাত হাওলাদারের ছেলে বিদেশ ফেরত (প্রবাসী) মো. রফিক হাওলাদার (৪৫)। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
রফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পাট খেত ও রাস্তা পাড়ি দিয়ে কাজী মন্নানের বাড়িতে গিয়ে অচেতন হয়ে পরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিককে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সাথে জড়িত গৌরনদী থানা পুলিশের শাস্তি ও বিচারের দাবিতে তখন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনা গত ১২ জুলাই বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তখন পুলিশের টনগনড়ে। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখী জানান, ভালুকশী গ্রামের রফিক হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহানকে আহবায়ক এবং তাকে ও ডিবি পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে।