বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৬৬টি পরিবারের জন্য সরকারী অর্থায়নে পাকা বাড়ি ‘বীর নিবাস’ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম জাহাঙ্গীর হোসেন সেরনিয়াবাতের উত্তরসূরী আনিস সেরনিয়াবাতের বাড়ি নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬৬টি ‘বীর নিবাস’ বাড়ির কাজের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দোয়া—মোনাজাতে অংশগ্রহন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাতসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে পাঁচটি ইউনিয়নে ৮টি প্যাকেজের আওতায় ৬৬টি ‘বীর নিবাস’ বাড়ি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রোববার সকালে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিটি বাড়ির জন্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৪শ ২০টাকা বরাদ্দে দরপত্রে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে মেসার্স সেরনিয়াবাত ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী আব্বাস সেরনিয়াবাতকে। একতলা বিশিষ্ট প্রতিটি পাকা বাড়ি হবে ৬৩৫ স্কয়ার ফিটের। এর মধ্যে ২টি প্রধান কক্ষ টাইলসসহ (বেড রুম), ১টি অতিথি কক্ষ (ড্রয়িং রুম), ১টি খাবার কক্ষ (ডাইনিং—রুম), ১টি রান্না ঘর ও ২টি বাথরুম রয়েছে। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় সুবিধাভোগীরা নিজ খরচে বহন করার কথা রয়েছে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩শ ৮২ টাকা ব্যয়ে উপজেলায় ১২টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করা হয়। ওই সকল ‘বীর নিবাস’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাচুর্য়ালী উদ্বোধন করেছিলেন।