পরিবহন শ্রমিকদের খামখেয়ালীপনায় চিরদিনের জন্য শরীর থেকে এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বরিশাল জেলার সাবেক সিভিল সার্জন, শের—ই—বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক উপ—পরিচালক এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অনিল চন্দ্র দত্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যে তার চারটি অপারেশন হয়েছে।
ঢাকা—বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বসে গুনগুন পরিবহনের শ্রমিকদের খামখেয়ালীর কারনে চিরদিনের জন্য এক পা হারিয়েছেন ডা. অনিল চন্দ্র দত্ত। এ ঘটনায় ওই পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের পরামর্শে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার একমাসেও কোন সুফল আসেনি।
মোবাইল ফোনে ডা. অনিল চন্দ্র দত্ত অভিযোগ করেন, গত ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি বরিশালে যাওয়ার জন্য গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহি গুনগুন পরিবহন গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে যাত্রী তোলার সময় তিনি (অনিল) এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে পরিবহনে ওঠার সময় শ্রমিকরা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এসময় মহাসড়কের ওপর ছিটকে পরলে বেপরোয়া গতিতে গুনগুন পরিবহনটি ডা. অনিল চন্দ্র দত্তকে চাঁপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তার (অনিল) ডান পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। বাম পায়েও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় প্রথমে তাকে বরিশাল শেবাচিম ও পরে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এনে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে টানা একমাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ডা. অনিল চন্দ্র দত্ত।