More

    ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে বৃক্ষ মেলা

    অবশ্যই পরুন

    ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গত ২৪ জুলাই থেকে সপ্তাহ জুড়ে শুরু হওয়া বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের চারা প্রদর্শণ ও বিক্রী করা হচ্ছে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী মেলায় দুই শতাধিক বিভিন্ন জাতের চারা এসেছে। ৬টি নার্সারী প্রতিষ্ঠানসহ বনবিভাগের নিজস্ব সামাজিক বনায়নের জন্য উৎপাদিত চারার প্রদর্শণী রয়েছে। মেলায় বনজ চারার চেয়ে ফলের চারার ক্রেতা সংখ্যা বেশি এবং এর চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতের ক্যাকটাস জাতের চারা রয়েছে। স্বরুপকাঠি থেকে প্রায় দেড়শতাধিক বিভিন্ন জাতের চারা নিয়ে এই বৃক্ষ মেলায় এসেছেন আলি আকবর।

    তিনি জানান, এই মেলায় তার সবচেয়ে বিক্রী বেশি এবং তিনি দাবি করেন মানুষ সুবিধা মত সময় ফাকেফাকে এসে তাদের প্রয়োজনীয় চারা নিয়ে যাচ্ছেন এবং এই মেলার পরিধি আরও ৭দিন বৃদ্ধি করা উচিত। মেলার কারণে বিশেষ চারা আনা হয়েছে যেগুলো সচারাচর বাজারে আনা হয় না। এবারের মেলায় নতুন এসেছে জসিমউদ্দিন তিনি জানান, মেলায় বেচা বিক্রীতে তিনি সন্তুষ্ট তারও মতামত মেলার আরও ৭দিন বাড়ানো উচিত। ঝালকাঠি সদর উপজেলার নেহাল গ্রামের আঃ রব জানান, তিনি এর পূর্বেও উচ্চ ফলনশীল আম গাছের চারা কিনে নিয়েছেন এবং আজও অন্যান্য নতুন জাতের চারা কিনেছেন। তিনি মনে করেন, ফলজ গাছ পরিনত হওয়ার পরে বিক্রী করে বনজ গাছের চেয়ে দাম বেশি পাওয়া যায় এবং ৩০—৪০ বছর ধরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে ফরমালিনমুক্ত ফল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। ঝালকাঠি বন বিভাগের জেলা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, পরিবেশগত কারণে সাধারণত ১১% বনভূমি থাকা দরকার কিন্তু ঝালকাঠি জেলায় বনায়নের পরিমান ২৫%।

    এখন মানুষ ফলজ গাছের প্রতি বেশি আগ্রহ। বনবিভাগ জেলায় ২৫ হাজার কিলোমিটারে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি পালন করেছে এবং এর আওতায় ১১ হাজার সুবিধাভূগী পরিবার রয়েছে যারা এই বনায়ন রক্ষণাবেক্ষন কাজে জড়িত রয়েছে। এই বনায়নগুলি বনায়নের গাছ পরিণত হওয়ার পরে কর্তন শেষে যেই বিক্রি করে যেই পরিমান অর্থ পাওয়া যায় তার ৫৫%ই এই সুবিধাভূগিদের মাঝে দেওয়া হচ্ছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...