রায়হান ইসলাম ( জেলা প্রতিনিধি):
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামের বাঁধের ১০০ মিটার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ওই বাঁধের ওপর নির্মিত সড়কের একাংশ ধসে পড়ছে।
তবে গত পূর্ণিমার জোয়ারে বাঁধের ১০ মিটার অংশ ধসে পড়ছে। এতে সড়কও ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকায় নদীভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কার্যক্রম চলছে।
ডাকুয়া এলাকার কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, বাঁধ ভাঙলে জোয়ারের পানি বাড়িঘরসহ ফসলি খেতে ঢুকে পড়বে। চাষাবাদ ক্ষতির মুখে পড়বে। লবণাক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে খেতের ফসল।
ডাকুয়া ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বজিত রায় জানান, নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, এলাকার দুই শ বছরের পুরোনো জমিদার বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, তেঁতুলতলা বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাড়িঘর। যান চলাচল বন্ধ হলে ভোগান্তিতে পড়বে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গলাচিপা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নদীভাঙনকবলিত তেঁতুলতলা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন ঠেকাতে প্রথমে বাঁধ মেরামতসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। বাঁধের ওপর কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের কাজ শেষ হলেই সড়ক নির্মাণ শুরু করা যাবে।
পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদী সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
তবে বালুর বস্তা ফেলার পরও নদী সংরক্ষণ না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের প্রবল চাপের কারণে ভাঙন বেড়েছে। ওই স্থানে আরও ৩৮ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তারপরও পাউবো ওই স্থানে স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে।