বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অপর ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
এর আগে রোববার পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমন সমদ্দার বাদী হয়ে আটকদের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিন বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের শহীদ রহিম সেবা সংঘে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে মঈন জমাদ্দার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়া অন্য আটকরা হলেন- পলিটেকনিক্যাল রোডের বাসিন্দা মৃত খান মো. ইউনুসের ছেলে মো. মহিউদ্দিন খান মোহন (৪৫) বরিশাল নগরের সিএন্ডবি রোড এলাকার বাসিন্দা সাইদ খলিফার ছেলে আলাল খলিফা (৪৫), ও কালুশাহ সড়ক এলাকার মৃত হাজী মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আবু জাফর সোহেল (৪৬)।
ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ইয়াবাসহ মঈন জমাদ্দার ও তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে জেলে পাঠানো হয়েছে। আদালত সুত্রে জানা গেছে, কোতয়ালি মডেল থানার একটি দল শহীদ রহিম সেবা সংঘের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের একটি কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেখান থেকে ওই চারজনকে আটক করা হয়।
সেখানে মঈন জোমাদ্দারের কাছ থেকে ৩০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২২ আগষ্ট মঈন জমাদ্দার বরিশাল নগরে বান্দ রোডের সোনার বাংলা মোটর্সের মালিক মো. মনিরুজ্জামানকে ফোন করে শহীদ রহিম সেবা সংঘের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে ডেকে নেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছবি সরিয়ে ফেলার কারণে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানকে মারধর করা হয়।
পরে তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে ভিডিও ধারণ করেন এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে গত ২৭ আগষ্ট কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় উচ্চাদালত থেকে জামিনে ছিলেন মঈন।