More

    উজিরপুরে ট্রলার ঘাট অবৈধ দখল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন

    অবশ্যই পরুন

    উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হারতা বন্দরের একমাত্র ট্রলার ঘাটটি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।

    জনস্বার্থে চান্দিনা ভিটি বাতিল করে ট্রলার ঘাট দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমল মল্লিক।

    অভিযোগকারী এবং হারতা মৎস আঢ়ৎ সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য নরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ জানান বরিশাল বিভাগের একমাত্র সাদা মাছের সর্ব বৃহৎ হারতা মাছ বাজার।

    উপজেলার জল্লা,ওটরা, সাতলা ও হারতা ইউনিয়নের শত শত ঘের ও বিল থেকে হাজার হাজার টন মাছ সেনের খালের মাধ্যমে হারতা উত্তর পাড় মাছ বাজারের ট্রলার ঘাটে মাছ নিয়ে আসে এবং ঐ ঘাট থেকেবাজারের কোটি কোটি টাকার মালামাল ওঠানামা করে ।

    কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্য নামে খ্যাত অভিলাষ ও সিরাজ মিলে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে গিয়াস ও রুবেল দুটি চান্দিনা ভিটি লিজ নেন। পারে অভিলাষ ও সিরাজ মিলে হারতার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়াহিদের কাছে ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন এবং ওয়াহিদ ২০২২ সালের জুন মাসে ঘাটলা দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

    এতে বাজার কমিটি সহ স্থানীয়দের তোপের মুখে পারে ভবন নির্মাণের কাজ স্থগিত হয়ে যায়। কিছু দিন পরে হঠাৎ ভূমি দস্যুরা ট্রলার ঘাটতি দখল করে বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাক সবজির দোকান সাজিয়ে পুরো ঘাটটি দখল করে নেয়।

    পরে দখলদারের কবল থেকে ঘাটটি পুন উদ্ধার করতে ইউপি চেয়ারম্যান অমল মল্লিক জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সহ, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দখলের বিষয় ওয়াহিদ জানান,আমি অভিলাষ ও সিরাজের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকায় রুবেল ও গিয়াসের দুটি চান্দিনা ভিটি ক্রয় করিয়াছি, সেখানে ভবন তুলতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দিলে আমি কাজ স্থগিত রাখি।

    হারতা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য নরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ জানান, প্রতি বছর মাছ বিক্রি মৌসুমে প্রতি দিন দুই থেকে তিন কোটি টাকার মাছ বেচা কেনা হয়।অধিকাংশ মাছ নৌকা যোগে ট্রলার ঘাট থেকে বাজারে আসে কিন্তু দখলদারা ঘাটটি দখল করে রাখায় এখান থেকে মাছ উঠানো যাচ্ছে না।

    এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, এ ঘাটটি শত শত বছর ধরে বিল অঞ্চলের মানুষ ধান,শাক সবজি মাছ সহ কৃষি পণ্য এখানে উঠানামা করে আসতেছিল।

    কিন্তু উজিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের একদল অসাধু কর্মকর্তার মাধ্যমে চান্দিনা ভিটির ডি,সিআর কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়া জালাল আহমেদ বলেন,চান্দিনা ভিটি আমার পূর্ববর্তী কর্মকর্তারা দিয়ে গেছেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

    উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে,এম ইসমাম এর কাছে চান্দিনা ভিটি বাতিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একমাত্র জেলা প্রশাসক বাতিল করতে পারেন।অবৈধ ভাবে কিছু হলে তদন্ত করে দেখা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলা

    ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ উঠেছে শরজিৎ হালদার (৬২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আশুতোষ হালদার...