অর্শরোগের ভয়াবহ যন্ত্রণা ও কষ্ট থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন? জানুন সেই রহস্যময় উপায়গুলি, যা আপনাকে দেবে স্বস্তি! ৪৫-৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে যেমন এই সমস্যা প্রবল, তেমনি কমবয়সীরা এখন এর নতুন শিকার। জীবনযাত্রার অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে এর প্রধান কারণ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে গ্যাসের সমস্যা, সবকিছু মিলিয়ে পাইলসের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এমনকি পরিবারে কেউ এই সমস্যায় ভুগলে, অন্যদেরও এটি হতে পারে। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্তপাত, ফুলে যাওয়া এবং জ্বালাভাব।
তবে ভয় নেই! আমরা এখানে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি সেই বিশেষ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলি, যা পাইলসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাকে দেবে নতুন শক্তি। আর নয় অসহ্য যন্ত্রণা, আসুন জেনে নিই সেই সব অব্যর্থ উপায়গুলি!
আদা এবং লেবুর রস
অর্শরোগ প্রতিরোধে ডিহাইড্রেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত আদাকুচি, লেবু এবং মধুর মিশ্রণ পান করে দেখুন কীভাবে অর্শরোগের উপশম হয়। এই প্রাকৃতিক মিশ্রণটি দিনে দুইবার সেবন করলে অর্শরোগের উপসর্গগুলি দ্রুত কমতে থাকে।
গরম জল
পাইলসের সমস্যায় অতি সহজ একটি প্রতিকার হল গরম জলের ভাপ নেওয়া। দিনে কয়েকবার, প্রতিবার ১৫ মিনিটের জন্য গরম জলের উপর বসুন, বিশেষত পায়খানা করার পর। এর জন্য আপনি বিশেষ যন্ত্র বা যেকোনো শক্ত পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাপেল সিডার ভিনেগারকে আপনার উপশমের সঙ্গী করুন। একটি তুলোর বল নিয়ে তাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মাখিয়ে ব্যথিত স্থানে আলতো করে লাগান। প্রথম প্রথম হয়তো একটু জ্বালা-পোড়া অনুভূত হবে, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই এর উপশম অনুভব করা যাবে। এই প্রক্রিয়াটি দিনে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করলে ভালো ফল পাবেন।
ইসবগুল
ইসবগুলের ভুসি পাইলস সমস্যায় চমৎকার উপকার করতে পারে। এটি শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে মল নরম করে, যা পায়খানা করার সময় যন্ত্রণা কমায় এবং হেমারয়েডসের উপশম ঘটায়। তবে অতিরিক্ত ইসবগুল খাওয়া থেকে গ্যাস বা পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে, তাই মাত্রাজ্ঞান মেনে চলা উচিত।
বরফ
পাইলসের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত বরফ ব্যবহার করুন। কাপড়ে মোড়ানো বরফ মলদ্বারে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ব্যথা কমায়। দিনে কয়েকবার করলে দ্রুত উপশম হবে।