আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় সড়কের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে গাছ কাটার সংবাদ জানালে তিনি এনিয়ে টালবাহনা শুরু করেন। বর্তমান বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারী এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে সড়কের গাছ কাটার হরিলুট হলেও তিনি তেমন কোন গাছই জব্দ করতে পারেননি।
এতে উজার হচ্ছে উপজেলার বন সম্পদ। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের ললিত মিস্ত্রীর ছেলে মহানন্দ মিস্ত্রী ওয়াপদা সড়কের পাশের সরকারী জায়গা থেকে বড় একটি রেন্টি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
এঘটনা উপজেলা বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারীকে জানালে তিনি বলেন, ওই গাছ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে কাটা হয়েছে। একারনে তাকে বাঁধা দিতে পারিনি।
এছাড়া বন কর্মকর্তা উপজেলার বাহাদুরপুর, বাকাল, ভালুকসী, বাশাইল সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে সম্প্রতি গাছ কেটে নিলেও তিনি তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি।
তিনি শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ম্যানেজ হয়ে ফেরত আসেন। তাকে ম্যানেজের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারী বলেন, গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা গাছ কাটার তদবির করছে। যার কারনে গাছ জব্দ করা যায়নি।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক গাছ ব্যবসায়ী বলেন, সড়কের পাশে বা সরকারী জায়গার গাছ ক্রয় করে কাটতে গেলেই বন কর্মকর্তার সাথে দেখা করলেই গাছ কাটা যায়। তখন কেউ তাদের গাছ কাটতে বাঁধা দিতে পারেনি। এব্যাপারে অভিযুক্ত মহানন্দ মিস্ত্রী বলেন, পূর্বের বন কর্মকর্তা মনিন্দ্রনাথ হালদারকে এই গাছ কাটার জন্য ৩ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।
সে বদলি হয়ে যাওয়ায় আর গাছ কাটতে পারিনি। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলে গাছ কাটতেছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন কাজে ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।