স্টাফ রিপোর্টারঃ গরমের দিন হোক বা শীতের সন্ধ্যা, হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম যেন সব সময়ের সঙ্গী। দুশ্চিন্তার মুহূর্তে, কম্পিউটারে টাইপ করার সময়, কলম ধরার প্রাক্কালে, বা কাগজ হাতে নেওয়া মাত্রই হাতের ঘামে সেগুলি ভিজে যায়। আর পায়ের তালুর ঘাম তো আছেই। এই অবাঞ্ছিত ঘামের কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে অস্বস্তিকর মুহূর্তে পড়তে হয় বারবার। কিন্তু আর নয় বিব্রতকর অভিজ্ঞতা! চলুন জেনে নিই সেই সব কার্যকরী উপায়, যা আপনার হাত ও পায়ের তালুর ঘাম থেকে দেবে মুক্তির সুবাতাস।
লেবুর রস
লেবুর রস হাত-পায়ের ঘাম নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে দারুণ কাজ করে। হাত-পায়ের তালুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস লাগান, আর ত্বক সেনসিটিভ হলে পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
হাত-পায়ের ঘাম থেকে মুক্তির জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তুলার মাধ্যমে তালুতে লাগান। সারা রাত রেখে সকালে বেবি পাউডার ব্যবহার করুন।
গোলাপজল
প্রতিদিন তিনবার, তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে এই মোহনীয় জলের ম্যাসাজ করে দেখুন কীভাবে ঘাম হ্রাস পায়। সত্যিই এটি এক অসাধারণ উপায়!
আলু
আলুর স্লাইস দিয়ে হাত-পায়ের ঘাম নিয়ন্ত্রণের অভিনব উপায়! একটি আলু স্লাইস করে নিন এবং এর টুকরোগুলি হাত ও পায়ের তালুতে আলতো করে ঘষুন। কিছুক্ষণ রেখে দিন, এবং তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি হাত-পায়ের তালুতেই শুধু নয়, শরীরের যে সকল অংশে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেখানেও অত্যন্ত কার্যকরী।
গ্রিন টি
গ্রিন টি – এক অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদান, যা না শুধু ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে, বরং অতিরিক্ত ঘামের সমস্যাও কমিয়ে আনে আশ্চর্যজনকভাবে। কীভাবে, জানেন? গ্রিন টি প্রাকৃতিকভাবে লোমকূপ বন্ধ করে এই ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করলে দেখবেন, আপনার ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়াও, গ্রিন টির পানিতে বরফ মিশিয়ে সেই ঠান্ডা পানি দিয়ে তুলা ভিজিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ম্যাসাজ করলেও অতিরিক্ত ঘামভাব অনেক কমে যায়। এক কাপ গ্রিন টি, আপনার দৈনন্দিন জীবনে আনতে পারে বড় পরিবর্তন!