আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ শত ৬০ জন শিক্ষকের ৭দিন ব্যাপী নতুন কারিকুলাম বিস্তরন বিষয়ক বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।
ওই প্রশিক্ষনে ভাতা হিসেবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে শিক্ষক না হয়ে প্রশিক্ষনে অংশ নিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মন্টু লাল অধিকারীর স্ত্রী মালা রানী অধিকারী। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে অষ্টম ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নতুন নিয়মের কারিকুলামের উপর দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে।
তারই অংশ হিসেবে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪শত ৬০ জন শিক্ষকদের ৩২ জন শিক্ষক প্রশিক্ষন দিচ্ছেন। প্রশিক্ষন দেওয়া শিক্ষকদের এর পূর্বে জেলা থেকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৪.৩০মিনিট পর্যন্ত প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
ওই প্রশিক্ষনে অংশ নিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মন্টু লাল অধিকারীর স্ত্রী মালা রানী অধিকারী।
শিক্ষক না হয়েও ওই প্রশিক্ষনে অংশ নিতে রাজিহার ভোকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সভাপতি জেমস মৃদুল হালদারের কাছ থেকে তার স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র আনা হয়েছে। তবে সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় মালা রানী অধিকারী নামে কোন শিক্ষকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তবে ভিন্ন একটি সূত্র জানায়, মালা রানী অধিকারী করোনার পূর্বে ভোকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রে খন্ডকালীন হিন্দু ধর্ম শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রশিক্ষনে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষনার্থীরা ক্ষোভের সাথে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চাকুরী করার সুবাদে মন্টু লাল অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী মালা রানী অধিকারীর নাম প্রশিক্ষনে অন্তর্ভুক্ত করে ভাতার মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছেন।
ভোকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সভাপতি জেমস মৃদুল হালদার বলেন, মালা রানী অধিকারী আমার প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন। তবে হাজিরা খাতায় তার কোন নাম দেখা যায়নি। প্রশিক্ষনে অংশ নেওয়া মালা রানী অধিকারী বলেন, ভোকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আমি দীর্ঘদিন ধরে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করে আসছি।
আমি অসুস্থ্য থাকায় বর্তমানে ছুটিতে আছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষক না হলে ওই প্রশিক্ষনে কেউ অংশ নিতে পারবে না।
এরপরেও কেউ প্রশিক্ষনে অংশ নিলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মালা রানী অধিকারী পূর্বে ভোকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রের শিক্ষক ছিলেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিয়া তানজিন বলেন, এ রকম ঘটনা ঘটলে খতিয়ে দেখে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।