আগৈলঝাড়া বরিশাল প্রতিনিধিঃ সারা দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
স্ত্রীর নির্যাতনে অসহায় স্বামীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বামীর সংসার করবে না বলে স্বামী আশীষ হালদাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সীমা হালদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের সুধীর হালদারের ছেলে পাশ্ববতীর্ উজিরপুর উপজেলার কালারবাড়ী গ্রামের শখা নাথ হালদারের মেয়ে সীমা রানী হালদারকে আড়াই বছর পূর্বে ঢাকায় বসে প্রেম করে বিয়ে করে।
আড়াই বছর ধরে তাদের বিয়ে হলেও তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক তৈরী হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বামী আশীষ হালদার। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী সীমা হালদার বিভিন্ন সময় নগদ টাকা, স্বনার্ংলকার হাতিয়ে নেয়। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী আশীষ হালদার ঢাকা থেকে রাতে ঘুমাতে গিয়ে স্ত্রী সীমা হালদারের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে চাইলে স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে ধস্তা ধস্তির একপর্যায় স্বামী আশীষ হালদারকে স্পর্শস্থানে লাথি মারে এবং হাতের বিভিন্ন কামর দিয়ে গুরুতর আহত করে।
তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। উপজেলা হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন স্বামী আশীষ হালদার ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে জানান, আড়াই বছর পূর্বে বিয়ে হলেও আমাদের আজও কোন দৈহিক সম্পর্ক হয়নি।
আমার স্ত্রী আমরা সাথে সংসার করবে না বলে ১০লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। এব্যাপারে স্ত্রী সীমা রানী হালদার ১০লক্ষ টাকা দাবীর বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আশীষকে ঢাকায় বসে ৫মিনিট দেখে বিয়ে করেছি। তাকে আমার পছন্দ হয়নি। সে ঢাকা থেকে এসেই আমার গায়ে হাত দিয়েছে। তার জন্য আমি তাকে লাথি মেরেছি।
