কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে মোঃ নাজমুল হোসেন নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ওই ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যােগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন গোপালপুর গ্রামের ধলু সরদারের ছেলে আকবর সরদার মাদারীপুর কোর্টে একটি মামলায় হাজিরা শেষে ইজিবাইক যোগে বাড়ি রওনা দেন।
এসময় পথিমধ্যে মাদারীপুরের কুকরাইল পৌছলে ওৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্তরা মিলে আকবর সরদারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে আহত আকবরের স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের পূয়ালী-মাদারীপুর গ্রামের চেয়ার আলী চৌকিদারের সেঝ ছেলে ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ নাজমুল হোসেন, তার ভাই মাছ ব্যবসায়ী ইমামুল ইমু চৌকিদার, মাছ ব্যবসায়ী হাবুল চৌকিদার, বর্তমানে মালয়েশিয়া অবস্থানরত এনায়েত চৌকিদার ও হাবুলের ছেলে লিমন চৌকিদারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মামলা করায় হয়। এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী নাজমুলের পরিবার। মামলার আসামী ভূক্তভোগী মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, আকবর সরদারকে মারধরের ঘটনার সময় আমি এবং আমার ভাইয়েরা সকলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।
কে বা কারা মারধর করেছে আমরা জানিনা। আর আমার ছোট ভাই এনায়েত বর্তমানে মালয়েশিয়া আছেন। তাকেও আসামী করা হয়েছে। আমাদের বিনা অপরাধে আসামী করা হয়েছে। আমরা এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হয়রানীর ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।
হামলায় আহত আকবর সরদার এক ভিডিও ফুটেজে দাবি করে বলেন, আমাকে ইমামুল চৌকিদার ওরফে ইমু আর নাজমুলসহ বেশ কয়েকজন মিলে পিটেয়েছে। আমার স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এইচ এম সালাউদ্দিন জানান, আকবরের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।