More

    নির্বাচকদের ভাবনায়ও ফিরেছেন রিয়াদ

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘শামীম পাটোয়ারি, আফিফ হোসেনকে রেখে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে দলে নেবেন না নিশ্চয়ই?’—২০২৩ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে জাতীয় দলের নির্বাচন প্যানেলের এক সদস্য এমন এক প্রশ্ন ছুড়েছিলেন সাংবাদিক আড্ডায়। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচকদের তৈরি করা দলেই ঠাঁই হয় মাহমুদের। ভারত বিশ্বকাপের আগে থাকা, না থাকার দোলাচলে ছিলেন মাহমুদ। তবে যোগ্যতা প্রমাণে তাঁর জায়গায় যাঁরা সুযোগ পান, তাঁরা পারফর্ম করতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পান এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

    এটাই অবশ্য প্রথম বা শেষ নয়। সর্বশেষ কয়েক বছর ধরেই এমন হচ্ছে। প্রতিবার বিশ্বকাপ এলেই আলোচনায় মাহমুদ উল্লাহ। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিনি অধিনায়ক থাকবেন কি না, সে নিয়ে জল ঘোলা হয় বেশ।

    পরের বছর একই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের দলে জায়গা হারাতে হয় তাঁকে। আরো একটি বিশ্বকাপের আগে ঘুরেফিরে আসছে মাহমুদের নাম। ২০২৪ সাল, অর্থাত্ চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এই বিশ্বকাপের আগে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি পর্ব।

    যেখানে মঙ্গলবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ফরচুন বরিশালের ব্যাটার মাহমুদ। সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৪ বলে খেলেন অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস। এবারের বিপিএলে পাঁচ ম্যাচের দুটিতে অপরাজিত থেকে রান করেছেন ১০৪, স্ট্রাইক রেট ১৬৫-এর ওপর। যদিও গত নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপের পর বিপিএলের আগে কাঁধের চোটের কারণে কোনো ম্যাচই খেলতে পারেননি তিনি। কে বলবে পড়তি ফর্মের অজুহাতে বয়সের কাঁটা ৩৮ ছুঁয়ে ফেলা এই ক্রিকেটার ১৬ মাস হয়ে গেছে এই ফরম্যাটে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেননি! আলোচনা তাই ডালপালা মেলেছে, পাঁচ মাস পর হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবেন তো মাহমুদ?

    গতকাল এমন আলোচনা উড়িয়ে দিতে চাইলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘অবসর যেহেতু নেয়নি, তার মানে সব সময় বিবেচনায় থাকে।

    সময়, পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কিন্তু যেহেতু সে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়নি, তার মানে বিবেচনায় থাকে সব সময়।’ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তো আরেক পা এগিয়েই বললেন, ‘এই মুহূর্তে সে সুযোগ পাবে কি পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। সে ভালো খেলছে, ভালো পারফর্ম করছে। আমি তো মনে করি, এমনিতেই তার দলে চলে আসা উচিত। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’
    মাহমুদ উল্লাহ নীতিনির্ধারকদের এতটাই ‘গুড বুকে’ ঢুকে পড়েছেন যে কিছুদিন আগেও যিনি বাতিলের খাতায় ছিলেন, এখন তিনি অন্যদের জন্য উদাহরণ। মাহমুদের সর্বশেষ ইনিংসটি সামনে এনে হাবিবুল বলেন, ‘আমরা এমন (মাহমুদের মতো) খেলাই দেখতে চাই।’ কিন্তু এবার বিপিএলে হতাশ হতে হচ্ছে হাবিবুলকে। লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হূদয়রা ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। নতুন কোনো ক্রিকেটার ভালো করছেন, এমনটাও বিপিএলে দেখা যাচ্ছে না। এবার বিপিএলের ম্যাচগুলো যেমন উইকেটে হচ্ছে, যেখানে বিদেশিরা রান পাচ্ছেন, সেখানে কেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা পারছেন না? চিন্তিত হাবিবুলের কারণ জানা নেই, ‘না পারার কোনো কারণ নেই। আমরা দু-একটা ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস দেখেছি, তবে এটা যথেষ্ট নয়। উইকেট অন্যান্যবারের মতো কষ্টকরও নয়। অত টার্ন নেই, বাউন্সও নেই। যেটুকু যা আছে সেটা মানিয়ে নিতেই তো আপনাকে খেলতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে এসে সফল হওয়া বিদেশিদের দেখিয়ে দিলেন তিনি।

    বিশ্বকাপের বাকি পাঁচ মাস। তার আগে আটটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ দল। মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ও এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি। হাবিবুলের প্রত্যাশা, বিপিএলে খারাপ করলেও সর্বশেষ ১৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যাঁরা ১১ ম্যাচে জয়ে এনে দিয়েছেন, তাঁরা বিপিএলের বাকি অংশ এবং এই আটটি আর্ন্তজাতিক ম্যাচের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন, ‘দু-একটা জায়গায় পরিবর্তন হতেই পারে। তবে এই ছেলেগুলোর মাধ্যমেই আমাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্য এসেছে।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার

    আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও কন্যাসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে...