আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদী রাখা যাবে না। অথচ বিরোধীয় জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আগৈলঝাড়ায় ইরি—বোরো ব্লকের ৫০শতাংশ জায়গা চাষের আওতায় না আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই এলাকার শতাধিক চাষীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিরোধীয় দু—পক্ষকে বাদ দিয়ে ওই জায়গা তৃতীয় কোন চাষীকে দিয়ে চাষের আওতায় আনা হবে। জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামে ৫০ শতাংশ জায়গা নিয়ে ফাতেমা বেগম ও বাবুল বেপারীর মধ্যে বরিশাল আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছে।
ওই মামলায় আদালত থেকে চলতি বোরো মৌসুমে দু—পক্ষের কাউকে জমিতে চাষাবাদ না করে স্থীতিবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন। রাংতা গ্রামের ওই বোরো ব্লকে ১শত একর জমি চাষাবাদের আত্ততায় আসলেও চলতি বোরো মৌসুমে ওই ৫০শতাংশ জায়গা চাষাবাদের আওতায় না আসায় রাংতা গ্রামের চেরাগ আলী হাওলাদার, লুৎফর আকন, মাহাবুব হাওলাদার, মজিদ ফকির ও রুশু আকনসহ ওই বোরো ব্লকের শতাধিক চাষীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
যার কারনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার ব্যবস্থা করার জন্য দাবী জানিয়েছেন। তবে বিরোধীয় জায়গা চাষাবাদের জন্য তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে চাষাবাদ করতে দিলে উভয় পক্ষের কোন আপত্তি থাকবে না বলে জানা গেছে।
ওই ব্লকের ম্যানেজার ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ১শত একর জায়গায় বোরো ব্লকের মধ্যে ৫০শতাংশ জায়গা অনাবাদি থাকলে ওই জায়গায় ইদুরে বাসা বেঁধে পার্শ্ববতী জমির ধানের ক্ষতি করবে।
একারনে ওই জায়গা চাষাবাদের আওতায় আশা খুবই জরুরী। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, আদালতের নির্দেশে বিরোধীয় জায়গা দুই পক্ষের কেউ চাষাবাদ করতে না পারায় অন্য কাউকে দিয়ে চাষাবাদ করিয়ে ফসল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা অন্য কারো কাছে রাখা হবে। মামলা নিস্পত্তির পরে ওই জমির উৎপাদিত ফসল তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।