More

    কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে এবং দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে

    অবশ্যই পরুন

    কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধার সম্পাদক মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা (৪৮) ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমের (৪২) ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    একই দলের সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আনসার উদ্দিন মোল্লার দুই পা থেতলে দিয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরেও জখম হয়েছে। অপরদিকে তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমকে মাথার চুল ধরে টেনে রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়। উপুর্যপুরি লাঠির আঘাতে তাঁর (স্ত্রীর) বাম পায়ের গোড়ালি ফেটে গেছে বলে জানা গেছে।

    বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময় লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বন্দরের অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে গেলে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁদের দু’জনকে উদ্ধার করে কুয়াকাটার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাত সাড়ে ১০টার সময় দ্রুত বরিশাল শের—ই—বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    গুরুতর আহত লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে আলীপুর বন্দরের বাসায় ফিরতে ছিলাম। আলীপুর বন্দরে আসার পরই আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী চক্রটি আগে থেকেই আমাকে মারার জন্য অপেক্ষা করছিল।

    লতাচাপলী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নজরুল ফকিরের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। নজরুল ফকিরের সাথে একই এলাকার আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজুসহ আরও ১০—১২ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ছিল।

    কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা মুমসাদ সায়েম পুনম বলেন, ‘তাঁর দুইপা থেতলে গেছে। এ ছাড়া তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হামলায় তাঁর শরীর ক্ষত হওয়ায় প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাঁকে বরিশাল শের—ই—বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    আহত চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা এ ঘটনার জন্য নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আসলে ওই সকল সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইর ওপর এ হামলা চালিয়েছে। আসলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। স্থানীয়রা দৌড়ে আসায় তাঁকে ফেলে রেখে সটকে পড়েছে সন্ত্রাসীরা।’

    এ ঘটনায় জড়িত নজরুল ফকিরের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। তবে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের কাছে এ ঘটনা সম্পর্কে গনমাধ্যম কমীর্রা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরাও মর্মাহত।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলছে। আমি এর আগেও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে এসব বিষয় জানিয়েছি। কোনো সমাধান পাইনি।

    একই দলের কর্মীদের দ্বারা এভাবে মারামারি—হানাহানির ঘটনা ঘটবে এটা আমি কখনই কামনা করিনা। আমি এতে পুরোপুরি হতাশ হয়েছি। শারিরীক অসুস্থতা দেখিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করে পারিবারিক জীবনে ফিরে যাবো। দলীয় রাজনীতি আর করবো না বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

    মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘হামলার পর ঘটনাস্থালে আমরা গিয়েছিলাম। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার

    আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও কন্যাসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে...