আরিফ তৌহীদ,পাথরঘাটা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় প্রবাসী আল মামুন ওরফে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলেছে আসমা নামে এক নারী।
আসমা বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত আল মামুন ওরফে দেলোয়ার পাধরঘাটার দক্ষিণ চরদুয়ানীর বাসিন্দা। ভুক্তভোগী আসমা জানান, আমার স্বামী হোসেন ও আল মামুন একই সাথে সৌদি আরবে থাকতেন যার ফলে তার সাথে সুসম্পর্ক ছিল।
হঠাৎ আমার স্বামী প্রবাসে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আল মামুন বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করেন। অতঃপর আমার স্বামীর শারীরিক অবনতি ঘটলে আল মামুন তাকে সৌদি আরবের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
তাই আমি আমার স্বামীর নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত তার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখি। যোগাযোগের এক পর্যায়ে আল মামুন ওরফে দেলোয়ার আমাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং বিভিন্নভাবে ইমো ও হোয়াটস এ্যাপে এ আপত্তিকর কথাবার্তা বলে।
পরবর্তীতে আমি তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে এবং আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরি। এতকিছুর পরেও আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি অবগত করি।
আসমা আরো বলেন, আল মামুনের সাথে আমার স্বামীর মনমালিন্য হলে রাগের বসে আল মামুন আমার স্বামীর সকল পাসপোর্ট,ভিসা, আকামা আটকে দেয়।
পরবর্তীতে অনেক তদবির করে আর স্বামীকে দেশে নিয়ে আসি।পরে জানতে পারি দেশে থাকা আল মামুন ওরফে দেলোয়ারের আত্মীয়-স্বজন দ্বারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
নিরুপায় হয়ে ২০২২ সালে আমরা আল মামুন ওরফে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করি। সব শেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং রাত বাড়িতে পুলিশ এসে আমার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার স্বামী বরগুনা জেলা কারাগারে বন্দী।
অভিযুক্ত আল মামুন ওরফে দেলোয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি শুনেছি। আগামী শনিবার এই সমস্যা নিরসনে লক্ষ্যে দু’পক্ষকে চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। আশা করছি এর একটি সমাধান হবে।