মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দেয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টার চালিয়েছে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র। আহত ছাত্র বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেস্বর গ্রামে, বিষয়টি ধামাচাপা দেবার জন্য ওই ছাত্রের অসহায় গরিব পরিবারকে মানুষিক রোগী (পাগল) আখ্যা দিয়ে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র থেকে জানাগেছে উপজেলার শোলকের সুভাষ ঘরামির পুত্র ৭ম শ্রেণির ছাত্র দেব ঘরামি (১৩) গত রবিবার বিকেলে একই এলাকার প্রতিবেশী পবিত্র কুমার মণ্ডলের পুত্র প্রতীক মণ্ডলের ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন লুকিয়ে ফেসবুক চালানোর জন্য নিয়ে গেলে, মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গিয়েছে ভেবে প্রতিকের পরিবার খোজাখুজি শুরু করে পরে তারা দেখতে পায় যে দেব ঘরামি ঘরের পাশে লুকিয়ে ওই ফোনটি ব্যবহার করছেন।
পবিত্রের পরিবার বিষয়টি মোবাইল চুরি করা হয়েছে বলে অপবাদ দিয়ে দেবের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে। মোবাইল ফোন চুরি করা হয়েছে বলে জানাজানি হলে ছাত্র দেব ঘরামির মা না বলে অন্যের মোবাইল ব্যবহার কেন ধরেছে তাই ছেলেকে শাসানোর জন্য মারধর করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকালে লজ্জায় দেব ঘরামি নিজেদের রান্না ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয় পরে স্বজনেরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে পবিত্র কুমার চুরির অপবাদের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে ওই পরিবারের সবাই মানুষিক রোগী পাগল কেসেমের ওদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। ছাত্রের পিতা সুবাষ ঘরামি বলেন আমি গরিব তাই ছেলেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিতে পারিনি বলে সে অন্যের মোবাইল ধরেছিল
এটাকে পবিত্রর পরিবার চুরি বলে তোলপাড় করেছে সে জন্য দেবের মা ছেলেকে মারধর করেছে বলে ছেলে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় তারা(পবিত্র) বড়লোক তাই এনিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাই না। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আহমেদ ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ওই ছাত্রের পরিবার থেকে কোন অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।