সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নিদের্শ অমান্য করে ডেন্টাল সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য চলছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ দাঁতের রোগীরা। অনেক সেন্টারের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছুই করা যাচ্ছে না।
একটি ডেন্টাল সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সংবাদ শুনে অন্য ডেন্টাল সেন্টারগুলো বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে তদবির করে সেন্টার পরিচালনা করে আসছে তারা। প্রতিটি ডেন্টাল সেন্টারের নেই কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ চিকিৎসার মেশিনপত্র।
তারপরেও তারা বহাল তবিয়তে সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট—বাজারে গড়ে উঠেছে ১৫টি ডেন্টাল সেন্টার।
এগুলো হলে নিমতলার রাফি ডেন্টাল, আগৈলঝাড়া সদরের আঁখি ডেন্টাল, পয়সারহাটে কামাল ডেন্টাল কেয়ার, বাটরা বাজারে টুথ ফেয়ারী ডেন্টাল কেয়ার, আস্কর কালীবাড়ি রেখা ডেন্টাল কেয়ার, পয়সারহাটের এসমাইল ডেন্টাল কেয়ার, বাগধা বাজারে সাদেক ডেন্টাল কেয়ারসহ বিভিন্ন স্থানে এসব অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার গড়ে উঠছে। এসব সেন্টারে অনেকে দাঁত উঠাতে গিয়ে পরেন মহাবিপদে।
ডেন্টাল চিকিৎসক ছাড়া এসব অবৈধ ডেন্টাল সেন্টার থেকে দাঁত উঠাতে গিয়ে মাসের পর মাস তারা দাঁতের অসুখে ভুগছেন। এসব সেন্টারে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস থেকে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার দুই—চারটি নির্দেশনা পালন করলেও বাকী গুলো পালন করে না এসব সেন্টারের মালিকরা।
তারপরেও তারা এসব অবৈধ ডেন্টাল সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। অনেক ডেন্টাল সেন্টারে নেই ডেন্টাল চিকিৎসক। তারা শুধু কোন স্থান থেকে দাঁতের একটু কাজ শিখে তারা ডেন্টাল সেন্টার দিয়ে বসে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ রোগীদের কাজ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।
এব্যাপারে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর শুকলাল সিকদার বলেন, উপজেলায় আমাদের তালিকাভুক্ত ১৫টি ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। তারপরেও দুই একটি কোন স্থানে থাকতে পারে। তবে অধিকাংশ সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, আমাদের তালিকাভুক্ত ১৫টি ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। এসব সেন্টার পরিচালনা জন্য বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস থেকে তাদের পরিচালনার জন্য ১০টি নির্দেশনা দেওয়া কাগজ রয়েছে। এই নির্দেশনা ছাড়া তারা ডেন্টাল সেন্টার পরিচালনা করতে পারবে না। কেহ যদি পরিচালনা করে থাকে তাহলে সেটি হবে অবৈধ।