এ বছর ফিতরার পরিমাণ জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরও সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ১১৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল ২৬৪০ টাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজার মূল্য ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ওই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা তার বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। এই পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জামিয়া শরইয়্যাহর মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালাম, মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ শাহ এমরান, সার্কিট হাউস জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আরিফ উদ্দীন মারুফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মুফতি মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।