More

    কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের দুই নেতাকে প্রার্থী ঘোষণা করলেন প্রতিমন্ত্রী মহিববুর

    অবশ্যই পরুন

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলের দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি।

    মঙ্গলবার বিকেলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কুয়াকাটা পর্যটন কর্পোরেশন চত্বরে কুয়াকাটা পৌরসভা ও পৌর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান দলের এ দুইজন নেতাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং উপস্থিত সকলের সামনে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন।

    স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে হঠাৎ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী ঘোষণায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত অনেক নেতা— কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ সময় অনকেকে বলতে শোনা যায়, এভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা ঠিক হয়নি।

    দলের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়াড় সময় মহিববুর রহমান বলেন, ্আগামী উপজেলা নির্বাচনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা দল থেকে, আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারকে ঘোষণা দিয়েছি।

    এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলিকে দল থেকে মনোনীত করেছি। নির্বাচনে অনেক প্রার্থী আসবে, কিন্তু দুর্দিনে যাঁরা দলের জন্য শ্রম দিয়েছেন, দলকে যাঁরা আগলে রেখেছেন এমন দুই নেতাকে দল থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্য নেতৃবৃন্দ যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁরাও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

    উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী যুব লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ড. শামিম আল সাইফুল সোহাগ এ নিয়ে তাঁর ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিখেছেন, ্#৩৯;জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় মনোনয়ন, দলীয় সমর্থন দেওয়া হবে না এই ঘোষণা দিয়েছেন।

    দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতারাই বহুবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে কীভাবে এই ঘোষণাটি করা হলো? জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত সঠিক? না এই ঘোষণাটি সঠিক? আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে চলবে, মাঝপথে কোন ঘোষণা কতটা যৌক্তিক? আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে অটল, এই সিদ্ধান্তের বাইরে বাকি কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

    জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা অবাধ নির্বাচনের কথা ঘোষণা দিয়েছেন। অবাধ ও প্রভাব মুক্ত নির্বাচনে যাঁর ইচ্ছে জাঁক, যোগ্য প্রার্থীকে জনগণ ভোট দিবেন। তিনি এ নিয়ে আরও লিখেছেন, আমরাও দুঃসময়, দুর্দিনের কর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে মামলা, হামলায় ঢাকার রাজপথে রক্ত দিয়ে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো আমরণ।

    জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা নৌকা এবং স্বতন্ত্রের দ্বন্দ্ব নিরসনের কথা বলেছে বহুবার, এ ধরনের একক সিদ্ধান্তে আজকে পটুয়াখালী—৪ আসন অশান্ত, রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে, সকলের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশটি আমাদের সকলের, আর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা আমাদের সকল আস্থার ঠিকানা।

    উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোককা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী কখনই দলের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন না। তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করে এ কাজটি করেছেন। আমরা দু—একদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানাবো।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার

    আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও কন্যাসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে...