পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল মালেক আকনসহ ১২ জনের বিরুদ্দে চাঁদাবাজির মমলা করে বিপাকে পড়েছেন মহিপুর বন্দরের হোটেল ব্যবসায়ী মো: আবু হানিফ। চাঁদাবাজদের হুমকি ও নির্যাতন থেকে বাচঁতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি।
রবিবারে বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো: আবু হানিফ। লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ বলেন, উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর মধ্যবাজারের একজন হোটেল ব্যবসায়ী। মহিপুর বাজারে সোহান নামক একটি আবাসিক হোটেল তৈরি করে সুনামের সহিত দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। মহিপুর বন্দরে কারিতাস ভবনের দক্ষিণ পাশে হাইওয়ে সংলগ্ন ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে তিনি ও তার ভাই ইব্রাহীম ভোগদখল করে আসছে।
সেখানে ৫ তলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। আওয়ামীলীগ নেতা মলেক আকন , মো: লালেদ ওরফে আ: সত্তার, রুহুল আমিন ওরফে দুলাল ডাক্তারসহ কয়েক জন একত্রিত হয়ে আমার কাছে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের এক সঙ্গী ইউনুস হাওলাদারকে দিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা দায়ের করেন।
যার মামলা নং— সিআর ৮৩০/ ২০২৩। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে ওই মামলাটি মিথ্যা বলে তদন্ত কর্মকর্তা রিপোর্ট দাখিল করিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে ভবনের পাশে অবস্থিত তাদের রাইচ মিল ও তেলের মিল বন্ধ করে দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ২০ মার্চ মহিপুরের নুরুমিয়ার খাবার হোটেলর সামনে পথরোধ ফের চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে আপরাগতা স্বীকার করলে মালেক আকনের হুকুমে লাদেন সত্তার ও জামাল সরদার মারধর করে গুরুতর ফুলা ও জখম করে।
এসময় লাদেন সত্তার তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা নিয়া যায়। ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে ১২ জনকে আসামি করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৪ মার্চ আবু হানিফ বাদি হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।
আবু হানিফ দাবি করেন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না দিয়ে কেহ বিল্ডিং নির্মাণসহ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন না। এশকাল চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।
এব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মালেক আকনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চাঁদা দাবির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ইউনুস হাওদার নামে এক লোক তার কাছে টাকা পাবে সেই লোকে শালিস করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন সেই শালিস ছাড়া তার সাথে কখনো কোন কথা হয়নি।