More

    কলাপাড়ায় কথিত সাংবাদিক নাইম’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

    অবশ্যই পরুন

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কথিত সাংবাদিক নাইমুর রহমান (২৮) এর বিরুদ্ধে চাঁদাদাবীর অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী রিপা বেগম বাদী হয়ে রোববার কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।

    মামলাটি পটুয়াখালী ডিবি অফিসে তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া, এই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ। অভিযু্ধসঢ়;ক্ত নাইমুর রহমান পৌর শহরের নাইয়াপট্টি এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের হাচনাপাড়া ১২ নং আবাসনের বাসিন্দা জাহিদুল বিশ্বাসের সাথে ভুক্তভোগী রিপা বেগম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৫ টার দিকে কথিত সাংবাদিক নাইমুর রহমান ও তার কয়েকজন সঙ্গীদের নিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদের এ বিবাহ অবৈধ ও ভুয়া হলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।

    অন্যথায় পত্রিকায় ছবিসহ নিউজ ছাপিয়ে দেয়াড় ভায়ভীতি দেখায়। তাদের ভয়ে ভুক্তভোগী ও তার স্বামী ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু অভিযু্ধসঢ়;ক্তরা বাকী ৭৫ হাজার তাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে তাদের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

    ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবিকৃত টাকা পরিশোধের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। মামলার বাদী ভুক্তভোগী রিপা বেগম জানান, নাইমুর রহমান ও শামিম মাঝি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদের বিবাহকে অবৈধ বলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।

    সম্মান হারানোর ভয়ে ২৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হই। বাকী ৭৫ হাজার তাকার দাবিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা দিতে না পারায় সে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি। লালুয়া ইউনিয়নের সজীব হাওলাদার, মাসুদ ও আব্দুল আজিজসহ একাধিক ভুক্তভোগী নাইমের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অভিযোগ জানান।

    এছাড়া অভিযুক্ত নাইম কলাপাড়া থানা পুলিশ, র‌্যাব, আইনজীবী ও পেশাদার সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি করে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম খাঁন জানান, নাইম নামের এই ছেলেটি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এ ইউনিয়নে এসে নিরীহ মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে।

    তাকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি। কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমার জানামতে এ নামের সাংবাদিক কলাপাড়ায় কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নই। চাঁদাবাজি করলে তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত। এবিষয়ে অভিযুক্ত নাইমুর রহমান সকল অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন দাবি করে জানান, তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে।

    আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছি। কলাপাড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক গোলাম মাওলা বলেন, নাইম নামের কোনো সাংবাদিককে চিনি না। কলাপাড়া থানা পুলিশের নাম করে কেহ অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার

    আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও কন্যাসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে...