বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে দেশে বর্তমানে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে হাতপাখার কদর বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে হাতপাখা।
টানা কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। হাঁস-ফাঁস অবস্থা খেটে খাওয়া মানুষদের। হাট বাজার ও বিপনি বিতানে আসা মানুষদের কাছে কদর বেড়েছে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে পাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগে যেখানে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি পিস হাতপাখার দাম পড়তো ৯ থেকে ১০ টাকা। সেই হাতপাখা পাইকারি প্রতি পিস ১৫ থেকে ১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের ভরসা হাতপাখায়।
এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আক্ষেপ করে জানান, প্লাস্টিকের বানানো পাখা ও বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের রেডিমেড পাখা তাদের ব্যবসায় ঢল ফেলেছে।হঠাৎ করে গরম বেশি পড়ায় এবং শহরে পোশাক কিনতে আসা মানুষদের কাছে বেশি বিক্রি হচ্ছে এসব পাখা।
শিক্ষক খাইরুল ইসলাম জানান, দিন দিন হাত পাখার কারিগররা এ পেশা থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একসময় বিপুল সংখ্যক লোক এ পেশায় জড়িত থাকলেও প্লাস্টিক ও রেডিমেড পণ্যের সঙ্গে তাল না মেলাতে পেরে পেশা পরিবর্তন করছে। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে বাঁশের তৈরি ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রত্যাশা করছি।