More

    বাকেরগঞ্জে মাদরাসায় এক পরিবারের তিনজনকে নিয়োগ

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের বাকেরগঞ্জ খোদাবক্সকাঠী নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার নিয়োগে এক পরিবারের তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নিয়োগে মাদরাসার অধ্যক্ষ অফিস সহকারী এবং আয়া পদে এই তিনজনকে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত করা হয়।

    নিয়োগ পাওয়া এই তিনজন হলেন, মাদরাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের আপন ছোট ভাই, ভাইয়ের পুত্রবধূ, এবং ভাগনে। অভিনব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানান কৌশলে কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেন মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মনির সন্যামত।

    এমন অভিযোগ এনে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন বাকেরগঞ্জের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।

    বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। এরআগে সভাপতি সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম দুর্নীতি কারনে গত বছরের ১০ অক্টোবর মাদ্রাসার কমিটি থেকে অন্য ১০ জন সদস্য পদত্যাগ করেন।

    পাশাপাশি কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি মনির সন্ন্যমত বলেন, নিয়োগে তিন প্রার্থী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আত্মীয় হওয়ায় আমরা তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্যজনকে দায়িত্ব দেই।

    এরপরে তিনজনই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সবার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত হয়। এখানে কোন টাকা পয়সা আমি নেইনি। তাছাড়া আধিপত্য বিস্তার ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগটিও সত্য নয়।

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার সভাপতি মনির সন্যামত এককভাবে সকল সদস্যদের সই জাল করে অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার নিয়োগ থেকে শুরু সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    রাজধানীতে রাস্তার পাশে পটুয়াখালীর নারীর বস্তাবন্দী লাশ

    অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি...