More

    মেঘনায় চিংড়ি রেণু ধরার মহোৎসব

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেঘনা ও শাখা নদীতে বাগদা রেণু চিংড়ি ধরা ও পাচারের মহোৎসব চলছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। আর অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গলদা ও ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রভাব দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী প্রকাশ্যে গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ ও বিক্রি করলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।

    ২০০০ সাল থেকে দেশের উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি পোনা আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। সেই থেকে উপকূলীয় এলাকায় সারাবছর গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ নিষিদ্ধ থাকলেও সে নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউ।

    জানা যায়, বৈশাখ মাসের শুরুর দিকে মেঘনা নদীজুড়ে বাগদা রেণু চিংড়ি ধরা ও পাচার শুরু হয়েছে। ছোট ছোট নৌকা দিয়ে নদীর কিনারায় নেট জাল দিয়ে এ রেণু ধরা হয়। এবং তা একটি বাহিনীর সহায়তায় সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করা হয়। মেঘনায় যারা রেণু চিংড়ি ধরে তারা মহাজনদের কাছে প্রতি পিস বাগদা রেণু ১.৮০ টাকা থেকে ২ টাকায় বিক্রি করে থাকেন।

    তবে রেণু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট বাহিনী। রেনু পাচার চক্রের প্রধানহোতা জসিম সরদার থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান জসিম সরদার বলেন, সংবাদ করলে হবে কী? সব ম্যানেজ।

    রেণু চিংড়ি শিকার করা চক্রের এক সদস্য পরাণ ভূঁইয়া বলেন, আমরা প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার পিস বাগদা রেণু চিংড়ি ধরে থাকি। এ রেণুগুলো হিজলা উপজেলার জসিম সরদারের কাছে বিক্রি করি।

    তিনি আরো বলেন, হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাগদা রেণু চিংড়ির ব্যবসা সঙ্গে রয়েছে প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, জসিম সরদার এবং ভোলার সবুজ মাঝি হিজলা উপজেলার আলীগঞ্জ, পুরাতন হিজলা বন্দর, মাটিয়ালা, মাঝেরচর, চরভৌরবী, ধুবলার চর, খালিশপুর, কাজিরহাটের আন্ধারমানিক, জয়নগর ও বাগরজাসহ বিভিন্ন শাখা নদীর মাছ ক্রয় করেন। বাগদা রেণু চিংড়ি পাচারে হিজলা উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ করে কোস্টগার্ডের সাবেক মাঝি জসিম সরদার।

    হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে বাগদা রেণু শিকারের জাল পোড়ানো হয়েছে। রাতে আমাদের টিম নদীতে ডিউটি করে। সামনে পড়লে আটক করা হয়।

    হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাগদা রেণুর আইন সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে বেআইনীভাবে চিংড়ি রেণু শিকার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...