More

    বাংলাদেশের জয়ে দারুণ খুশি তামিম

    অবশ্যই পরুন

    অবশেষে মিলেছে কাঙ্ক্ষিত জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপটাও শুরু করেছে বীরের বেশে।

    এই জয়ের আগে বহু প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে হার, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার – সবকিছু মিলিয়ে যেন এক বিধ্বস্ত, ক্লান্ত দল ছিল বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে দারুণ জয়ে টাইগার শিবিরে এখন স্বস্তির বাতাস।

    দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবালও বেজায় খুশি দলের এমন জয়ে। প্রকাশ করেছেন নিজের উচ্ছ্বাস। ক্রিকেটের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই, দারুণ খুশি প্লেয়ারদের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারার পর প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল, অনেক কিছু হচ্ছিল। আমি নিশ্চিত এই জয় তাদের শান্ত করবে। তারা পরের ম্যাচ নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা শুরু করবে। ম্যাচটা দারুণ ছিল। শুরুর দিকে বোলাররা দারুণ ছিল। শ্রীলঙ্কা শুরুতে অনেক শক্তিশালী ছিল পরে মাঝের ওভারে সময়টা ছিল শুধুই বাংলাদেশের। মাঝে ৭ ওভারে কোনো বাউন্ডারি দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। চাপ বাড়ছিল শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের উপর। বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ দারুণ করেছে।’

    আলাদা করে প্রশংসা করেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের, ‘অবশ্যই, সে দারুণ একটি ম্যাচ কাটিয়েছে। যদি ১৫তম ওভারটি দেখেন, এর আগে ৩-৪ ওভার সাকিব (আল হাসান), মুস্তাফিজ (মুস্তাফিজুর রহমান), তাসকিনরা (আহমেদ) বল করেছে। যখন রিশাদ এসেছিল ১৫তম ওভারে তখন শ্রীলঙ্কার হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না, তাদের রিশাদের উপর চড়াও হতেই হত। সে দারুণ চতুরতার সাথে বল করেছে। ২ উইকেট তুলেছে এবং খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এর সাথে নির্বাচকদের কৃতিত্ব দিতে হবে। বর্তমান নয়, আগে যারা ছিলেন। কারণ সত্যি কথা বলতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে রিশাদের পারফরম্যান্স কখনওই অত ভালো ছিল না। নির্বাচকরা সুযোগ নিয়ে রিশাদকে খেলিয়ে গেছে গত ১০-১৫ ম্যাচ ধরে এবং এটা কাজে লেগেছে। ফলে এখানে নির্বাচকদের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে যা নিয়ে আসলে অনেকে কথা বলে না।’

    রিশাদের কাছ থেকে নিজের প্রত্যাশার ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি অনেক বেশি। আসলে উপমহাদেশে অনেক ফলনির্ভর খেলা হয়ে থাকে। যদি আপনি জিততে থাকেন তাহলে সব ঠিকঠাক। কিন্তু যদি জিততে না পারেন এবং পারফর্ম করতে না পারেন তাহলে তাকে (রিশাদ) সাপোর্ট করে যাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লেগ স্পিনার আসলে তৈরি করতে হবে, এটা এমন নয় যে তারা এসেই প্রথম ম্যাচ থেকে ভালো খেলবে। যদি আপনি (যুজবেন্দ্র) চাহাল, কুলদীপদের (যাদব) দিকে তাকান ভারত তাদের তৈরি করেছে। এখন তারা দলের জন্য ম্যাচ উইনার। এখানে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। তার খারাপ ম্যাচ যেতে পারে, ভালোও হতে পারে। তবে খারাপ করলে তার ব্যাপারে অনেক ধৈর্য ধরতে হবে।’

    ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা হতাশাই ঝরেছে তামিমের কণ্ঠে, ‘আসলে বাংলাদেশ যেভাবে রানটা তাড়া করেছে তা আমার অতটা পছন্দ হয়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১২৫ রান, ১৩৫ রান আসলে খুবই ট্রিকি রান। ফলে আমার কাছে মনে হয় এই রান তাড়া করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শীর্ষ ৩ ব্যাটারের মধ্যে যেকোনো একজনের দ্রুত রান তোলা। ৬ ওভারে যদি দ্রুত রান তুলে ফেলা যায় তাহলেই কাজটা সহজ হয়ে যায়, মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা তখন আর রান রেট নিয়ে চাপে থাকবে না। হ্যাঁ আমরা উইকেট হারিয়েছি তবে আমাদের সুযোগ ছিল। আমার মনে হয় লিটন (দাস) আরও একটু আগ্রাসীভাবে খেলতে পারত। সে অনেক নিরাপদে খেলেছে যা আমি উপভোগ করিনি। তাওহিদ হৃদয়কে অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। যদি তার ২০ বলে ৪০ রান আপনি দেখেন তাহলে মনে হয় সে খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছে। কারণ শেষ দিকে খেলা অনেক জমে গিয়েছিল।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...